কথা ও কবিতায় শহীদ কাদরীকে স্মরণ

ঠিকানা রিপোর্ট : গান, কবিতা আর ভিডিওচিত্র উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে নিউইয়র্কে স্মরণ করা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শহীদ কাদরীকে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উডসাইডের পিএস-১২ স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কবিকে স্মরণ করেন তাঁর ভক্ত ও সতীর্থরা।
‘দাঁড়াও আমি আসছি’ শিরোণামে এ স্মরণসভাকে সাজানো হয়েছিল দুই পর্বে। প্রথম পর্বে ছিল ভিডিওচিত্র ‘রূপালী ডানা’ প্রদর্শন। এরপর ভিডিওচিত্র নির্মাণের কথা ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আলোচকরা।


সাবিনা নিহারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, সঙ্গীত পরিচালক নাদিম আহমেদ এবং নজরুল কবীর।
এরপর কবিকে নিয়ে লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন নিউইয়র্কের জনপ্রিয় শিল্পীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন নজরুল কবীর, মৃদুল আহমেদ, মিথুন আহমেদ, ক্লারা রোজারিও, শুক্লা রায়, গোপন সাহা ও আনোয়ার উল্লাহ লাভলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরো ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনা।
‘দাঁড়াও আমি আসছি’ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাজুল ইমাম, নাদিম আহমেদ ও নজরুল কবীর।
উল্লেখ্য, শহীদ কাদরী ছিলেন বাংলাদেশী কবি ও লেখক। তিনি ১৯৪৭-পরবর্তীকালের বাঙালি কবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিনি নাগরিক-জীবন-সম্পর্কিত শব্দ চয়নের মাধ্যমে বাংলা কবিতায় নাগরিকতা ও আধুনিকতাবোধের সূচনা করেছিলেন। তিনি আধুনিক নাগরিক জীবনের প্রাত্যহিক অভিব্যক্তির অভিজ্ঞতাকে কবিতায় রূপ দিয়েছেন। দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ববোধ এবং প্রকৃতি ও নগর জীবনের অভিব্যক্তি তার কবিতার ভাষা, ভঙ্গি ও বক্তব্যেকে বৈশিষ্ট্যায়িত করেছে। শহর এবং তার সভ্যতার বিকারকে তিনি ব্যবহার করেছেন তার কাব্যে। তার কবিতায় অনুভূতির গভীরতা, চিন্তার সুক্ষ্ণতা ও রূপগত পরিচর্যার পরিচয় সুস্পষ্ট।
শহীদ কাদরীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ চারটি। ১৯৭৩ সালে বাংলা কবিতায় অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন। তিনি ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন নিউইয়র্কে ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট।