কমবয়সী ভোটারদের কাছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৩৩%

ঠিকানা রিপোর্ট: সর্বাপেক্ষা কম বয়সী ভোটারদের কাছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। দ্য এসোসিয়েটেডপ্রেস- এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এমটিভি পরিচালিত এক জনজরিপ প্রতিবেদনে বলা হয় যে ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী আমেরিকানদের মাত্র ৩৩% প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্মকান্ড অনুমোদন করেছে।
এপি-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের সাম্প্রতিক প্রকাশিত জনজরিপে প্রাপ্তবয়স্ক উত্তরদাতাদের ৪২% ট্রাম্পের কর্মকান্ড অনুমোদন করেছিলেন। পক্ষান্তরে ২ এপ্রিল প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে অল্পবয়স্ক আমেরিকানদের ট্রাম্পের প্রতি সমর্থনের হার প্রাপ্তবয়স্কদের অনুমোদনের চেয়ে ৯% কম বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গ্যালআপ জরিপ প্রতিবেদনে ট্রাম্পের কর্মকান্ডের বর্তমান অনুমোদনের হার ৩৯% বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার হার ৪০% এর মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে।
এপির জরিপ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী আমেরিকানদের ৬০% এর দৃষ্টিতে ট্রাম্প মানসিকভাবে অনুপযোগী ( মেন্টালী আনফিট)। অপর ৬৩% এর দৃষ্টিতে ট্রাম্প বর্ণবাদি ( র‌্যাসিস্ট)। একই বয়সীদের ৬৯% ড্রীমারদের লিগ্যাল বৈধ) স্ট্যাটাস প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে তাদের ৫৯% লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার এন্ড কুইয়ার রাইটস সংরক্ষণ নীতিমালার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। নতুন প্রজন্মের ভোটাররা ইলেকটরেট গঠনে অর্থবহ ভূমিকা পালন করে এবং আগের বংশধরদের তুলনায় তারা বর্তমানে অধিকতর বর্ণ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ভুক্ত।
২০১৬ সালের নির্বাচনে নতুন ভোটারদের মাত্র ৫৫% হিলারীকে এবং ৩৭% ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে তারা ডেমক্র্যাটদের প্রতি ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কম বয়সী ভোটারদের ৬০% বারাক ওবামাকে এবং ৩৭% ভোটার রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী মিট রমনীকে ভোট দিয়েছিলেন।
লক্ষ্যণীয় যে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে অল্পবয়স্ক ভোটারদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার পুরোপুরি সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ড ডগলাস হাই স্কুলের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পর টীন এবং কম বয়সী এডাল্ট অ্যাক্টিভিস্টরাই হাই স্কুল এবং কলেজের শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ এবং ওয়াশিংটনসহ সমগ্র আমেরিকায় মার্চ ফর লাইভসে ( জীবনের জন্য মিছিলে) লাখ লাখ লোকের অংশগ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। তাই চলতি বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে।