ঠিকানা রিপোর্ট : জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় গত ২১ এপ্রিল সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে কমরেড বারীন দত্ত, বরুন রায় ও পীর হাবিবুর রহমান স্মরণে সভা ও গজনফর আলী চৌধুরীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কবি বেলাল বেগ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুব্রত বিশ্বাস।
স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন বক্তব্যের প্রারম্ভেই রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাংবাদিক গজনফর আলী চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, আজকে যে ৩ জন বরেণ্য ও জননেতা রাজনীতিবিদদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তারা পেশাদার রাজনীতিবিদ ছিলেন। মানুষের সেবায় তারা সব সময় ব্রত ছিলেন। আজকে একজন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মার্সিডিজ গাড়িতে চড়ে। সে সময়কার রাজনীতিবিদরা সংসদে যাওয়ার পরও (বারীন দত্ত) কোনো গাড়ি বা বাড়ি ছিল না। তাদের শিক্ষা ছিল। রাজনীতি মানুষের জন্য। নিজের জন্য নয়।
তবারক হোসেইন বলেন, আমরা সামরিক শাসক, অসামরিক শাসক দেখেছি। সে সব সরকার ক্ষমতা দখলের পর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে রাজনীতিবিদরা মানুষের জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে যান। সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আজকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমরা গা ভাসিয়ে দিয়েছি। প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। সারা জীবন রাজনীতি করে কি পেয়েছি? পেয়েছি একটি সংবিধান। একটি দেশ। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সংবিধানের মূলস্তম্ভ ধর্ম নিরপেক্ষ। সে সংবিধানে বিস্মিল্লাহ সংযুক্ত করা হয়েছে। তাহলে ধর্ম নিরপেক্ষ হয় কিভাবে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি না। রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রয়াত ৩ নেতার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আদর্শিক হওয়ার আহ্বান জানান। সেই সাথে এ তিন নেতার রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্মানে প্রথমে একটি সেল গঠন করে সবার কাছে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম তুলে ধরার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, সিলেট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আ ক ম কামাল, ঠিকানা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ফজলুর রহমান, তোফায়েল চৌধুরী, কমরেড বরুনদার ছেলে সাগর রায়, সৈয়দ মুজিবুর রহমান।
সভায় প্রয়াত ৩ নেতা ও গজনফর আলীর স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভার সভাপতি কবি বেলাল বেগ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্মরণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।