মোহাম্মদ এন মজুমদার : করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রকেও চরমভাবে আঘাত হেনেছে। সুদীর্ঘ হোম কোয়ারেনটাইন, অর্থনীতিক মন্দা, গৃহে স্থান সংকুলানের অভাব, আর্থিক ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের কারণে, নিউইয়র্ক শহরের একজন আইনকর্মী হিসাব অহরহ প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, স্বামীরা গৃহত্যাগ, আবার অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রীরাও সংসার ত্যাগ করছেন।
সামাজিক এই অবক্ষয় এবং পরিবারসমূহ ধ্বংসের মূলে রয়েছে মূলত তিনটি কারণ। ১. সর্বপ্রথম কারণ হিসাবে রয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আয় এবং পরস্পরের আয়-ব্যয় এবং সঞ্চয় নিয়ে। বিশেষ করে আনএমপ্লয়েন্টের ডলার, স্ত্রীর আয়ে স্বামীর ভাগ, আয়-ব্যয় এবং দেশে সঞ্চয় ইত্যাদি প্রথা সমস্যা হিসাবে কাজ করছে। ২. দ্বিতীয় কারণ হিসাবে বলা যায়, বাসায় বসবাসের জন্য স্থান সংকুলানের অভাব। দেয়া যায়, ১ বেড রুমের বাসায় স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান ছাড়া বৃদ্ধ মা-বাবাও বসবাস করছেন। স্থান সংকুলান না হওয়া তথা সামান্য ও ছোট জায়গায় অত্যাধিক মানুষের বসবাস ডোমেস্টিক ভায়েলন্স এবং ঝগড়ার কারণ হিসাবে ধরা হচ্ছে। ৩. তৃতীয় কারণ হচ্ছেÑ পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য তথা পিতামাতা এবং শ্বশুর-শাশুড়ির হস্তক্ষেপ। দেখা যাচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহে মুরুব্বিদের পক্ষালম্বন বা অযাচিত হস্তক্ষেপ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যাকে আরো বড় করে তুলছে। এতে সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে তা আরো প্রখরতর হয়।
ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, মারামারি, ছাড়াছাড়ি, পারিবারিক সিদ্ধান্তের সমাধানে নিউইয়র্ক শহরে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং সরকার পরিচালনাধীন লিগ্যাল এইড এবং জাস্টিস সেন্টারসমূহ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স তথা পারিবারিক কলহে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে ৩১১-এ কল দিন, প্রচুর জবংড়ঁপব রয়েছে আপনাকে সহায়তা করার জন্য। প্রয়েজনে কল দিয়ে জেনে নিন কি কি সুবিধা রয়েছে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ভিকটিমদের জন্য।
লেখক পরিচিতি : এই প্রবন্ধটির লেখক মোহাম্মদ এন মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং নিউইয়র্কস্থ টরো ল সেন্টার থেকে আইনে এলএলএম ডিগ্রিধারী, তিনি নিউইয়র্কস্থ একটি ল ফার্মে ১৯৯৯ সাল থেকে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ব্রঙ্কস প্লানিং বোর্ড-৯ এর সদস্য ফাস্ট ভাইস চেয়ারম্যান এবং ল্যান্ড এন্ড জোনিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯১০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপরোক্ত লিখাটি লেখকের সুদীর্ঘকালের ল ফার্মে কর্ম অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ল স্কুলের শিক্ষা থেকেই লিখা। এটিকে লিগ্যাল এডভাইজ হিসেবে গ্রহণ না করে আপনাদের নিজ নিজ আইনজীবীর সহযোগিতা নিন।