
ঠিকানা অনলাইন : কয়লা সংকটে বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আবারও পাঁচ দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে সেখানে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। মূলত ডলার সংকটে পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি করতে না পারায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।
এর আগে কয়লা সংকটের কারণে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফেরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে গত ১৫ এপ্রিল রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয়ে যায় এই মেগা প্রকল্পের উৎপাদন। তিন দিন বন্ধ থাকার পর ১৮ এপ্রিল সচল হয় কেন্দ্রটি।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কয়লা সংকটের কারণে ২৩ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আনার জন্য নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩ মের দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।’
দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলেছে, মূলত ডলার সংকটের কারণে দীর্ঘদিন অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ব্যাপারে কড়া অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তালিকায় কয়লাও পড়ে যায়। এমন অবস্থায় কবে নাগাদ কয়লা আমদানি স্বাভাবিক হবে এবং এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে গত ১৭ জানুয়ারি কয়লা আমদানির অনুমতি দেয়।
ঠিকানা/এনআই