ঠিকানা রিপোর্ট: কান্নায় শুধু মনের পুঞ্জীভূত হাহাকারের ইতি ঘটেনা এর স্বাস্থ্যের জন্য এর কিছুটা উপকারিতাও রয়েছে। কান্নার মাধ্যমে মনের দুঃখ হাল্কা হয় এবং শরীর ও মন স্বাভাবিকত্ব ফিরে পায়। অশ্রু বিসর্জনের ফলে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। এ কারণে চক্ষু চিকিৎসকগণ মাঝে মাঝে রোগীদের জন্য কৃত্রিম অশ্রু প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন আমাদের চোখ থেকে যদি কম-বেশি ১০ আউন্স অশ্রু নির্গত হয় তবে দৈহিক এবং মানসিক যন্ত্রণার লাঘব হয়। কান্না করলে শরীরের ভেতরের অক্সিটসিন এবং এন্ডোজেনাস অপিওডিস নামক দুটি হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমে। সেই সঙ্গে মন-মেজাজও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। অনেক সময় কান্নার পর গভীর নিদ্রা উপভোগ করা যায়। মুসলমানদের ধর্মীয় বিধান হচ্ছে: হাস কম, কাঁদো বেশি। অনেক বিজ্ঞ আলেমের মতে অশ্রু বিসর্জনসহ আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ তা কবুল করেন।
. জন্ম নেওয়ার পরই নবজাতকের কান্না তার শরীরের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রথম কান্নার সময়ই বাচ্চার শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুস ধীরে ধীরে অক্সিজেন গ্রহণ করার পরিস্থিতিতে আসে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু হতে সময় লাগে না। কান্নার সাথে অনেক রোগ জীবাণু শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কান্না অনেক সময় হজম প্রক্রিয়াও সাহায্য করে।