ঠিকানা অনলাইন : ভারতের কলকাতার কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। ক্রমেই অবনতি ঘটছে এই বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক অবস্থার। গত ২৪ ঘণ্টায় এই অভিনেতার সাড়া দেওয়ার প্রবণতা ক্রমেই কমছে। কাজ করছে না স্নায়ু, বেড়েছে করোনা এনসেফেলোপ্যাথির সংক্রমণ। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় দেশ-বিদেশের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তাঁর মস্তিষ্ক সাড়া দিচ্ছে না। বাড়ছে অস্বস্তি। বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার কথা ভাবছেন চিকিৎসকরা। এ খবর প্রকাশ করেছে কলকাতার গণমাধ্যমে।
এর আগে ২৫ অক্টোবর বার্তা সংস্থা পিটিআইকে সৌমিত্রের চিকিৎসক দলের নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকা অরিন্দম কর জানিয়েছিলেন, গত ৭২ ঘণ্টায় সৌমিত্রের আচ্ছন্ন অবস্থা বেড়েছে। বিষয়টি কোন পথে চলেছে, তা নিশ্চিত নয় চিকিৎসক দল। তাঁদের ধারণা, কোভিডের ফলে এনসেফেলোপ্যাথির জেরেই এমনটা হচ্ছে। স্টেরয়েড প্রয়োগ ও অন্যান্য প্রচেষ্টায়ও এ মুহূর্তে চিকিৎসায় কোনো সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র। তাঁর ফুসফুস ও রক্তচাপ ঠিক থাকলেও প্লাটিলেট কমে গেছে। রক্তে বেড়েছে ইউরিয়া ও সোডিয়ামের মাত্রা।
এর আগে ৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হলে কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভোগা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। দুবার প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর করোনামুক্ত হন এই অভিনেতা। এরপর চিকিৎসায়ও বেশ ভালো সাড়া দিচ্ছিলেন সৌমিত্র বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৫৯ সালে অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়জগতে পা রাখেন। এরপর তিনি সত্যজিৎ রায়ের ৩৪টি সিনেমার ১৪টিতে অভিনয় করেছেন। কবি ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও তিনি বেশ পরিচিত।
ঠিকানা/এসআর