কিউবায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, নিহত শতাধিক

কিউবায় অভ্যন্তরীণ রুটের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল কিউবাটিভি।
শুক্রবার যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ১১৪ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর তা বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
কিউবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা প্রেনসা লাতিনা জানিয়েছে, রাজধানী হাভানার জোস মার্টি বিমানবন্দর থেকে ১০৫ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি পূর্বাঞ্চলের হোলগুইন শহরে যাচ্ছিল। সংবাদ সংস্থাটির এক টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত ছবিতে দুর্ঘটনা স্থলে প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখা গেছে। পাশেই অগ্নিনির্বাপণ কর্মী ও অ্যাম্বুলেন্সের তৎপরতাও দেখা গেছে।
এএফপি’র খবরে বলা হয়, কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। দিয়াজ-কানেলকে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, একটি দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর খুব ভাল নয়। অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন, যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে বিমানটিতে ১১৪ জন আরোহী ছিল। তাদের মধ্যে আহত তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বিধ্বস্তের ফলে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এখন দেহগুলো শনাক্ত করার কাজ করছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
রেডিও হাভানা কিউবা জানিয়েছে, বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটি উড্ডয়নের কিছু সময় পর হাভানা ও বয়ারোসের মধ্যবর্তী একটি হাইওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করছিল। স্থানটি হাভানা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে।
সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা কিউবানা ডি এভিয়েশন এর বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ হাভানার হোসে মার্তি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এ সময় সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে।


দামোঝ নামে মেক্সিকোর ছোট বিমান সংস্থার কাছ থেকে বিমানটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করছিল এয়ারলাইন কিউবানা। দুর্ঘটনার ব্যাপারে কিউবানা রয়টার্সের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে মেক্সিকো থেকে দামোঝের প্রতিনিধি বলেন, সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।
শতাধিক নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও তাদের জাতীয়তা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বিমানটির ক্রুরা বিদেশি বলে জানানো হলেও বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কিছু উদ্ধারকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।