কিসিঞ্জারকে লজ্জা দিয়ে বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর

ঢাকা : স্বাধীনতার পর হেনরি কিসিঞ্জার (যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বলেছিলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এসে দেখছি তাকে লজ্জা দিয়ে বাংলাদেশ স্বনির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি শুধু নিজেরাই এগিয়ে গেছে তা নয়, মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার ১০ লাখ রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দিয়েছে। যা বিশ্বে বাংলাদেশকে অত্যন্ত গৌরবান্বিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি গণহত্যার বিরুদ্ধেও এটি বাংলাদেশের একটি প্রতিবাদ। গত ১৮ ফেব্রæয়ারি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধু যুক্তরাজ্যের নাগরিক অধ্যাপক পল কনেট বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী অর্জন নিয়ে এই মন্তব্য করেন।

গত ১৬ ফেব্রæয়ারি পল কনেট ও তার স্ত্রী এলেন কনেট ১০ দিনের সফরে ঢাকা আসেন। তাদের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রæয়ারি তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এতে ব্র্যাক, জগন্নাথ, ড্যাফোডিল, ইস্ট-ওয়েস্ট ও আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

পল কনেট মুক্তিযুদ্ধে তার ও স্ত্রী এলেনের অংশগ্রহণ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। পরে তরুণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হারুন অর রশিদ বীরপ্রতীক ও ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল ইসলাম বাবুল। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ইকবালুর রহমান বাংলাদেশ, ওয়ার অব ইন্ডিপেনডেন্স শীর্ষক কিছু দালিলিক তথ্য-উপাত্ত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে হস্তান্তর করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপিদের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কিছু ক্লিপিংস রয়েছে। এ সময় শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে পল কনেটও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ডন ম্যাকুয়ালাম নামে একটি বই হস্তান্তর করেন।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জন্য অনন্য এই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে কনেট দম্পতিকে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।