কুমিল্লা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিনের প্রাণনাশের আশঙ্কা মামলার সাক্ষী ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন শাকিলকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার প্রধান আসামি সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর ভাতিজা আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত ৮ অক্টোবর সকালে তার ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
শাকিল কুলাসার গ্রামের ছালেহ আহাম্মদ প্রকাশ বধু মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। আলকরা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক হেলাল বিকেলে শাকিলের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর সকাল ৮টার সময় ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ফেনী থেকে মদিনা বাসযোগে কুমিল্লার আদালতে সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া রাস্তার মাথায় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী আবদুর রহমান ও আলমের নেতৃত্বে আমির হোসেন, শুভ, রিয়াজ, কফিল উদ্দিন, বাহাদুর ও ইকবালসহ ৮-১০ জনের একটি দল জোরপূর্বক তাকে প্রকাশ্যে বাস থেকে মুখে গামছা বেঁধে নামায়।
এরপর মাইক্রোবাসে করে ফেনীর শর্শদি দীঘির পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ের শাকিলকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার শেষে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফেনী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
আলকরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে কুমিল্লায় চলে আসি। হাজিরা শেষে দুপুরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। শুনেছি-ছাত্রলীগের এক ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ ৮ অক্টোবর বিকেলে বলেন, আমরা এখনও ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হইনি। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।