
ঠিকানা অনলাইন : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আটক পাঁচ শিক্ষকসহ ছয় জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকেও।
শনিবার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান পলাশ জানান।
বরখাস্ত হওয়া ছয় জন হলেন নেহালউদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষক যুবায়ের হুসাইন, আমিনুর রহমান, হামিদুল ইসলাম ও সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক [পিয়ন] সুজন মিয়া। এর আগে এদের গ্রেপ্তারের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনা তদন্তে গঠিত দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কমিটি শনিবার রিপোর্ট জমা দিয়েছে বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামের কাছে।
নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান পলাশ জানান, শত্রুতাবশত সাধারণ শিক্ষকদের যদি কেউ ফাঁসিয়ে দেয় কিনা – এই আশঙ্কায় রয়েছেন সাধারণ শিক্ষকরা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসএসসির চারটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন।
এরপর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজির শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক জুবায়ের হোসাইনকে।
চারজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলাও হয় ভূরঙ্গমারী থানায়।
এ পরিস্থিতিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান ও রয়ায়ন পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা আসে বুধবার।
পরে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা বোর্ড। একই দিন ওই বিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষক হামিদুল ইসলাম ও সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক [পিয়ন] সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) আজাহার আলী জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলেই আরও কেউ জড়িত আছে কিনা জানা যাবে।
২৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে [রিমান্ড] নেয়ার আবেদনের শুনানির দিন রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঠিকানা/এসআর