ঠিকানা অনলাইন : কেনিয়ার একটি হাসপাতালের মর্গে কর্মরত কর্মচারীরা ভযঙ্কর এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। হাসপাতালে ভর্তি পিটার কিগেন নামে ৩২ বছরের এক ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা। মর্গে তার দেহ সংরক্ষণের জন্য রাখা হয়েছিল। খবর দ্য সানের।
সেখানেই যখন তার মরদেহ সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখনই জেগে ওঠেন ওই ‘মৃত’ ব্যক্তি! জেগে নিজেকে মর্গে দেখেই চিৎকার করতে শুরু করেন পিটার। তার চিৎকার শুনে ভয়ে পালিয়ে যান মর্গের কর্মীরা। কেনিয়ায় হাসপাতালে অবহেলার এমনই ভয়ঙ্কর এক ঘটনার কথা সম্প্রতি সামনে এসেছে।
জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর পিটার কিগেন সম্প্রতি পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে কেনিয়ার কেইরিচোর কাপলাটেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে ভর্তি হওয়ার দিন কয়েক পর তার পরিবারের লোকের কাছে খবর যায় পিটার মারা গেছেন।
পিটারের ভাই জানিয়েছেন, হাসপাতালের এক নার্স তাকে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর দেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে যাই। মর্গ থেকে দেহ নেয়ার জন্য আমাকে কাগজপত্রও দিয়েছিলেন নার্স।
কর্মকর্তারা মরদেহ সংরক্ষণের আগে মর্গে ডেকে পাঠান। সেখানে যেতেই চমকে যাই। দেখি ভাই নড়াচড়া করছে। আমি বুঝতে পারছি না একজন জীবিত ব্যক্তিকে কীভাবে মর্গে নিয়ে যাওয়া হলো।
নিজেকে মর্গে আবিষ্কার করে ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন কিগেন। জীবিত অবস্থায় মর্গে পৌঁছে যাওয়া পিটার বলেন, এ ঘটনায় আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। কী করে ওরা বুঝল আমি মৃত? ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমার জীবন বাঁচিয়ে দেয়ার জন্য।
ঠিকানা/এমআরএম