কোন দিকে মোড় নিচ্ছে পর্ণোতারকা ড্যানিয়েলসের মামলা!

বিশেষ প্রতিনিধি : জন্মের পর নাম রাখা হয়েছিল স্টেফানী ক্লিফোর্ড। বিনোদন জগতে জড়িয়ে পড়া এবং চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণের পর নাম হয় স্টর্মী ড্যানিয়েলস। এডাল্ট ফিল্ম স্টার হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আশাব্যঞ্জক সাড়া জাগাতে না পারলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বিয়ে বহির্ভুত প্রেম-প্রণয় ও যৌনমিলনের মাধ্যমে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পূর্বে রাতারাতি চলে আসেন পাদপ্রদীপে।

একদিকে লব্ধপ্রতিষ্ঠ রাজনীতিক সাবেক সিনেটর এবং সেক্রেটারী অব স্টেট হিলারীর সাথে বাঘে-মোষে লড়াই, অন্যদিকে ড্যানিয়েলসের পক্ষ থেকে গোপন অভিসারের কাহিনী রাষ্ট্র করার হুমকি মহাবিপর্যয় ডেকে আনে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের জন্য। অগত্যা শুরু হয় পর্দার আড়ালে নানা দেন-দরবার।

সেই দেন-দরবার সাফল্যও বয়ে আনে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের জন্য এবং আইনজীবীর মাধ্যমে ডানিয়েলসের সাথে সম্পাদিত হয়-এগ্রীমেন্ট এনটাইটলেড টু ২০ মিলিয়ন ইন ড্যামেজ ( ক্ষতি বাবত ২০ মিলিয়ন ডলার প্রদানের সমঝোতা)। ট্রাম্প নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি। এরপরই শুরু হয় নির্বাচনে রাশিয়ার গোপন হস্তক্ষেপ, ড্যানিয়েলের সাথে অবৈধ মিলন চাপাদেয়ার সাতকাহন।

চলতি মাসের গোড়ার দিকে পর্ণতারকা ড্যানিয়েলস রুজু করেন ক্ষতিপূরণ মামলা। মামলার আর্জিতে দাবি করা হয়: ড্যানিয়েলস এবং ট্রাম্প ও এসেনসিয়াল কন্সালট্যান্ট এলএলসি মধ্যকার হাশ (চুপ থাকা) চুক্তিনামার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে ড্যানিয়েলস বাধ্য নন। কারণ ডক্যুমেন্টে ট্রাম্প স্বাক্ষর করেন নি। শুরু হয় নতুন করে আইনী লড়াই এবং মিডিয়ার মাতামাতি।

মামলা স্থানান্তর : অভিযোগ রয়েছে যে ড্যানিয়েলসকে পরিশোধের জন্য তহবিলের প্রকৃত উৎস গোপন রাখার উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন এসেনসিয়াল কন্সাল্ট্যান্টস এলএলসি গঠন করেন। ১৬ মার্চ আইনজীবী কোহেন এবং তার প্রতিষ্ঠিত এসেনসিয়াল কন্সাল্ট্যান্টস এলএলসি পর্ণোতারকা ড্যানিয়েলস কর্তৃক চলতি মাসের গোড়ার দিকে লস এঞ্জেলেস সুপেরিয়র কোর্টে রুজুকৃত মামলাটি ফেডারেল আদালতে স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছিলেন।

ফেডারেল আদালতে মামলা স্থানান্তরের আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে আইনজীবী কোহেন কিংবা বিবাদী ট্রাম্প নন-ডিসক্লোজার এগ্রীমেন্ট ( প্রকাশ না করার শর্তে সম্পাদিত চুক্তিনামা) লঙ্ঘনের দায়ে ড্যানিয়েলসের কাছ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ প্রার্থনার অধিকার রাখেন। এসেনসিয়াল কন্সাল্ট্যান্টস এলএলসি কর্তৃক রুজুকৃত মামলার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে: ১: আব্রিটেশন এগ্রীমেন্টস ( সালিসী চুক্তিনামা) অধিকতর কঠোরভাবে বাস্তবায়নে নির্দেশ দেয়ার এক্তিয়ার ফেডারেল কোর্টের রয়েছে। ২: আর এ ধরনের নির্দেশের ফলে ড্যানিয়েল রুদ্ধদ্বার লিগ্যাল ফোরামে বসতে বাধ্য থাকবেন।

এ ব্যাপারে একজন সালিসদার ড্যানিয়েলসের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একটি ইনজাংশন জারি করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত আর্বিট্রেশন বা সালিসের ব্যাপারে কম বন্ধুসুলভ প্রবণতা প্রদর্শন করতে পারে আশঙ্কা বলে মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানানো হয়েছিল। আর উক্ত আবেদনের পটভূমিতেই শেষ পর্যন্ত ১৯ মার্চ ড্যানিয়েলসের মামলাটি সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ নিয়োজিত লস এঞ্জেলেসভিত্তিক ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ এস জেমসের আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

খ্যাতনামা আইনজীবী হার্ডারের দায়িত্বগ্রহণ: ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে যে বেভারলী হিলসের বিশেষ খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী চার্লস হার্ডার উক্ত বিরোধে ট্রাম্পের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব শুরু করেছেন। মিডিয়ার সাথে উচ্চাঙ্গিক পর্যায়ের আইনী লড়াইয়ে আইনজীবী হার্ডার দেশবরেণ্যদের পক্ষে ওকালতি করে থাকেন। গত বছরের গোড়ার দিকে মাইকেল ওলফসের হোয়াইট হাউজ অ্যান্ড ক্যাম্পেইন শিরোনামের গ্রন্থের প্রকাশনা অবরুদ্ধ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা রুজুর হুমকি দিয়েছিলেন।

ম্যারিল্যান ব্লগার এবং ডেইলী মেইলের বিরুদ্ধে লাইবল (লিখিত কুৎসা) ক্ষতিপূরণ মামলায় হার্ডার ফার্স্ট লেডী মেলানিয়া ট্রাম্পের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। অতএব, শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা-ই দেখার পালা।

গত সপ্তাহে অসাবধানতাবশত শীর্ষ খবরের নিম্নবর্ণিত অংশটি ছাপা হয়নি। তাই সম্মানিত পাঠকদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় অংশটি নিচে সংযোজন করা হল:
পর্নোতারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক : ফেঁসে যাচ্ছেন ট্রাম্প

পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক নিয়ে বেহাল দশা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের। প্রেয়সীর মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার খবর যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে ফেডারেল নির্র্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে পারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গুরুতর এ অভিযোগে (ফেলনি) ৫ বছরের কারাদ-ের বিধান রয়েছে।

ট্রাম্প-পর্নোতারকা সম্পর্ক এখন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও আলোচিত হচ্ছে এ ইস্যু। যাকে ঘিরে এত আলোচনা, সেই স্টর্মি ড্যানিয়েলস এখন চাইছেন প্রকাশ্যে সব খুলে বলতে। বাধা হচ্ছে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে করা একটি চুক্তি। সে সময় ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার নিয়ে, তিনি এ সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলবেন না বলে চুক্তি করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীর সঙ্গে।

শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি বাতিলের আবেদন জানিয়ে আদালতে গেছেন ড্যানিয়েলস, মার্চের প্রথম সপ্তাহে (৬ মার্চ)। এর মধ্যে পানি গড়িয়েছে আরো বহুদূর। বিষয়টি আদালতের বাইরে সমঝোতার যে চেষ্টা চলছিল, সেটিও আপাতদৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ১২ মার্চ মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্টর্মি ড্যানিয়েলস তার মুখ রাখার জন্য ট্রাম্পের আইনজীবীর মাধ্যমে পাওয়া ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার এখন ফেরত দিতে চান। তার আইনজীবী এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবীকে।

ইংরেজি স্টর্মি শব্দের আক্ষরিক অর্থ ঝড়ো। ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষ’টিকে এখন সেই ঝড়ো পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। তার পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক আর বিড়ম্বনা। চেয়ারে বসার আগে থেকে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিতর্কে একের পর এক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এখন স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক নিয়ে নতুন বিতর্কের মুখোমুখি তিনি। ক্ষমতার বছরপূর্তির কালে এসে প্রেসিডেন্টের সামনে নতুন বিপদÑস্টর্মি ড্যানিয়েলস।

গেল জানুয়ারিতে, মার্কিন গণমাধ্যম এ পর্নোতারকার সঙ্গে ট্রাম্পের ‘বিছানার সম্পর্ক’টা সামনে নিয়ে আসে। এরপর থেকে নানা ডালপালা গজাচ্ছে এ কা-। শুরুতে ট্রাম্প আর হোয়াইট হাউস এ সম্পর্ককে বানানো কাহিনি বলতে চেয়েছেন। ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার জন্য অর্থ দেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন। এর কদিনের মধ্যেই এই কোহেনই বিবৃতি দিয়ে জানান, এটি বানানো গল্প হলেও ট্রাম্পের মুখ রক্ষার জন্য নির্বাচনের আগে নিজের পকেট থেকেই তিনি ড্যানিয়েলসকে অর্থগুলো দিয়েছিলেন।

আদালতে ড্যানিয়েল : লস অ্যাঞ্জেলেস সুপিরিয়র কোর্টে ৬ মার্চ ড্যানিয়েলসের পক্ষে যে মামলাটি করা হয়, তাতে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ না খোলার জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ১১ দিন আগে (অক্টোবর ২৮, ২০১৬) চুক্তি সই করেছিল দুই পক্ষ, সেটি অকার্যকর মর্মে আদালতের আদেশ চায় তারা। আদালতে আরজিতে যুক্তি দেখানো হয়, আবেদনকারী যেহেতু চুক্তিটি অকার্যকর বলে মনে করেন, তিনি কোনো অবস্থাতেই আর চুপ থাকতে চান না।

আবেদনকারী আদালতে জানান, গেল ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী কোহেন একটি মীমাংসা-প্রক্রিয়া শুরু করেন, যা আসলে প্রতারণাপূর্ণ। মার্কিন গণমাধ্যমের খবর, সেই প্রক্রিয়ায় দুই পক্ষের সম্মতিপত্রে ট্রাম্পের যে সই ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি আসলে তার নয়।

মনে করা হচ্ছে : ট্রাম্পের সঙ্গে সত্যিই কি ড্যানিয়েলসের যৌন সম্পর্ক ছিল? ট্রাম্প শিবির এ ঘটনা নিয়ে তাদের ‘না’, ‘না’ বলার সমর্থনে কোনো যুক্তিই দাঁড় করাতে পারছে না। বিপরীতে ড্যানিয়েলসের বক্তব্যের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে একের পর এক যুক্তি। ট্রাম্পের আইনজীবী মি. কোহেন শুরুতে অর্থ লেনদেন নিয়ে ড্যানিয়েলসের দাবি অস্বীকার করেছিলেন কেন? তিনি কেন এত পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন? তাও নিজের ব্যক্তিগত বৈধ তহবিল থেকে? তার দাবি, তিনি তার মক্কেলের সম্মান বাঁচাতে চেয়েছেন। এ লেনদেন নিয়ে তিনি ট্রাম্পকেও জানাননি। নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা প্রকাশিত হলে ট্রাম্পের ক্ষতি হতে পারত বলে তার বিশ্বাস। প্রশ্ন উঠেছে, একটি প্রতারণাপূর্ণ ও মিথ্যে ঘটনা যদি হয়ে থাকে এটি, তাহলে সেই মিথ্যেকে তিনি কাউকে না জানিয়ে, বিশেষ করে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকেও না জানিয়ে এককভাবে মোকাবেলা করতে চেয়েছিলেন কেন? বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুরুতেই বিষয়টাকে হালকাভাবে নিয়েছিল ট্রাম্প শিবির। কিন্তু মার্কিন গণমাধ্যমের জোরালো অনুসন্ধানের কারণে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি মি. কোহেন।

বোমা ফাটালেন কেইথ মুনিয়ান : লস অ্যাঞ্জেলসে ফ্যাশন ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন মুনিয়ান। ড্যানিয়েলসের দীর্ঘদিনের বন্ধু। ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের আইনজীবীর সঙ্গে করা ‘চুপ-চুক্তি’তে ড্যানিয়েলসের পক্ষে সই করা চারজনের একজন তিনি। কিছুদিন এক বাসায় একসঙ্গে থেকেছেন দুজন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি বিস্ট’ গত ১২ মার্চ মুনিয়ানের সঙ্গে আলাপের সূত্র ধরে প্রকাশ করে এই প্রতিবেদন। তাতে উঠে আসে ২০০৬ সালে শুরু হওয়া ট্রাম্প-ড্যানিয়েলস সম্পর্কের বেশ চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পর্ক শুরু হয় ২০০৬ সালে, ট্রাম্প যখন তত বিখ্যাত হননি। তিনি সবেমাত্র ট্যাবলয়েড চরিত্র থেকে রিয়েলিটি টিভি তারকা হয়েছেন। তার ফোন পেলে লাউডস্পিকার ব্যবহার করতেন ড্যানিয়েল। ট্রাম্প কল করে অনেকক্ষণ কথা বলতেন। আর অন্য প্রান্তে কী বলা হচ্ছে সব শুনতে পেতেন মুনিয়ান। ‘লোক অহেতুক ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে পারেন’Ñবলছিলেন মুনিয়ান। হোটেলে প্রথম দেখায় ট্রাম্প কীভাবে তাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন, সে বর্ণনা দিয়েছিলেন ড্যানিয়েলস, মার্কিন গণমাধ্যমে। তিনি এও বলেছিলেন, বিছানায় সাধারণ মানের মানুষ ট্রাম্প।

সমঝোতার প্রস্তাব : ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়নি। নানা প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে তাকে। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হয়তো হয়ে যেতে পারে। এটা নির্ভর করছে কী পাচ্ছেন তিনি সেটার ওপর। ট্রাম্প শিবিরকে এজন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হতে পারে, অনুমান বিশ্লেষকদের। যুক্তি, নিজের মুখ খুলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছ থেকে যা আয় হতে পারে, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যদি এর চেয়ে বেশি আসে, তাহলে চুপ হয়ে যাবেন ড্যানিয়েলস- এমনটাও বলা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দেওয়া ছাড়াও ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক নিয়ে বই, মূলধারার সিনেমা আর পর্নো সিনেমা বানানোর প্রস্তাবও আছে ড্যানিয়েলসের কাছে। নিজে একটি হরর মুভি বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন। বিনিয়োগ খুঁজছেন। সেটি করার অর্থ জোগাড়ে যেকোনো অর্থসূত্রে নজর দিতে পারেন ড্যানিয়েল, যার প্রকৃত নাম স্টেফানি গ্রেগরি ক্লিফোর্ড। মাঝে রাজনীতি করার ইচ্ছে জেগেছিল তার।