কোয়াডে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কোয়াডে যুক্ত হতে চাচ্ছে! নির্বাচনের কয়েক মাস অর্থাৎ আগামী বছরের প্রথম ভাগেই এ সংক্রান্ত স্পষ্ট সরকারি ঘোষণা আসতে পারে। জানা যায়, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান কোয়াডের অন্যতম সহযোগী। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি, নতুন কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন সাধনের কথা বলা হচ্ছে। আসলে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে সামরিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে তাদের পূর্বপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সামুদ্রিক নৌশক্তিতে চীন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। এমনকি নৌশক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও অগ্রগামী চীন। চীন তার মহাশক্তি ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, জাপান সাগর, চীন সাগরসহ প্রসারিত করেছে। নৌশক্তি তারা আরও প্রসারিত করছে বাধাহীনভাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের ক্রমবর্ধমান এই নৌশক্তিকে মেনে নিতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্র তা হুমকি হিসেবে দেখছে।
ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বঙ্গোপসাগর চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-উভয়ের জন্যই জরুরি। ভারতকে এরই মধ্যে হাতে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সামরিক চুক্তিতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে পর্যাপ্ত সামরিক সুবিধা দিয়েছে। সাবমেরিনসহ সামরিক যান ভারতে আশ্রয় নেয়া, জ্বালানি সংগ্রহ ও অবস্থানের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সতরটি পয়েন্টে বিশেষ ধরনের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে, যার সাহায্যে যেকোনো সামরিক ও অন্যান্য নৌযান চলাচলের চিত্র পাওয়া যায়।
বাংলাদেশকে কি ধরনের সুবিধা দেয়া হবে তা জানা যায়নি। তবে চুক্তির খসড়া বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হয়েছে। ভারতের অনুরূপ কোনো ঘাঁটি স্থাপনের সুযোগ বাংলাদেশে দেয়া হবে না বলেই জানা যায়। তবে বঙ্গোপসাগর অংশ দিয়ে তাদের নৌযান ও সামরিক যান চলাচলের সুবিধা দিতে আপত্তি করছে না। চীন এ ক্ষেত্রে যে রকম সুবিধা পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাই পাবে। তাদের সামরিক যান চলাচলে বাংলাদেশ বাধা হবে না। এ ব্যাপারে চীনের সাথে বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য সমঝোতা রয়েছে বলেই জানা যায়।
বাংলাদেশের কোয়াডে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে পরবর্তী পর্যায়ে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথাও প্রকাশ পাবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও সরকার রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগও পাবে। আগামী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বাণিজ্যিক বৈঠকে এ বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে আলোচিত হবে বলে জানা যায়।