কোরবানির অর্ডার নেওয়া শুরু

ঠিকানা রিপোর্ট : কোরবানির ঈদের এখনো প্রায় এক মাস বাকি। তা সত্ত্বেও নিউইয়র্কের বিভিন্ন গ্রোসারি দোকানে কোরবানির মাংসের অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তিরাও গ্রোসারির দোকানে ফোন করে অর্ডার দিচ্ছেন। কেউবা সরাসরি দোকানে গিয়ে কোরবানির অর্ডার দিচ্ছেন। যারা গ্রোসারির মাধ্যমে কোরবানি দেবেন না, তারাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনকে একত্র করে কোরবানির পশু কেনার পরিকল্পনা করছেন। অনেকে নিউজার্সি, আলবেনিসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কোরবানি দিয়ে মাংস নিয়ে আসেন।
এদিকে গরুর মাংসের দাম এখনো ঠিক হয়নি। গত বছর কোরবানির সময় প্রতি পাউন্ড গরুর মাংস ছয় ডলারে বিক্রি হয়। কোনো কোনো দোকানে ছিল ৫ ডলার। বিশেষ করে, জ্যাকসন হাইটসের মাছ বাজারে গরুর মাংসের দাম ছিল ৫ ডলার করে পাউন্ড। এবার বিভিন্ন গ্রোসারিতে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে পাউন্ড প্রতি ১৩ ডলার। কোনো কোনো দোকানে বিক্রি হয়েছে ১২ ডলার করে। মাছ বাজারও গত বছর খাসির মাংস পাউন্ড প্রতি ১২ ডলার বিক্রি করে।
জ্যামাইকার মান্নান গ্রোসারি, ফাতেমা গ্রোসারি, কাওরান বাজার, বিসমিল্লাহ, সাটফিন বুলেভার্ডের একাধিক গ্রোসারি; জ্যাকসন হাইটসের মাছ বাজার, ইত্যাদি গ্রোসারি, মান্নান গ্রোসারি, খামার বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন গ্রোসারিতে কোরবানির অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। দাম স্থির না করেই কোরবানির অর্ডার নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও দাম নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন, গতবারের কাছাকাছি দাম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এবার গরুর মাংসের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ গত সপ্তাহে এর দাম ৪০ সেন্ট করে বেড়েছে।
এদিকে কিছু কিছু গ্রোসারিতে ভেড়ার মাংসকে খাসির মাংস বলে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরাও শুনতে পাচ্ছি কিছু কিছু গ্রোসারি খাসির মাংস বলে ভেড়ার মাংস বিক্রি করছে। ক্রেতারা সেটি ধরতে পারছে না। জাবিয়া কিংবা শরিয়া বোর্ড যখন মাংস চেক করে, তারা তখন দেখে যে এটি হালাল উপায়ে জবাই করা হচ্ছে কি না। কোনটি কিসের মাংস বলে বিক্রি হচ্ছে, সেটা দেখা তাদের কাজ নয়। জবাই, সরবরাহসহ সবকিছু হালাল উপায়ে হলে তারা হালাল সার্টিফিকেট দেয়। জ্যাকসন হাইটসের খ্যাতনামা এক গ্রোসারির মালিক বলেন, অনেক দোকানেই ল্যাম্পের মাংস খাসির মাংস বলে বিক্রি হচ্ছে। এটা আমরা জানতে পেরেছি। এগুলো জানার পর আমরা নোট নিয়েছি। ক্রেতারা এত কিছু বোঝে না। আমরা দোকানিরা তা বুঝতে পারি। সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সহজ হবে না। এটি ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা। তাই ক্রেতাদের বলব, খাসির মাংস কেনার সময় নিশ্চিত হয়ে কিনুন। সন্দেহ হলে মাংস পরীক্ষা করিয়ে নিন।
বাজারে ল্যাম্পের মাংস খাসির মাংস বলে বিক্রি হচ্ছে, এটা কি দেখার কেউ নেইÑএ ব্যাপারে একজন ক্রেতা বলেন, আসলে এগুলো দেখার কেউ নেই। বিক্রেতারা কারচুপি করলে সেই দায় তাদের। তবে সবারই সততার সঙ্গে ব্যবসা করা উচিত।