ক্ষেপণাস্ত্রে বাধা নয় যুক্তরাষ্ট্রের, আশায় ভারত

বিশ্বচরাচর ডেস্ক: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তিতে আমেরিকা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই আশা করছে ভারতের কূটনৈতিক মহল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ওয়াশিংটন সফরের পর নরেন্দ্র মোদি সরকারের এ আশা আরও বেড়েছে। তবে কূটনীতিকদের মতে, আগামী তিন সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়াসংক্রান্ত যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা শুধু ভারত-নির্দিষ্ট নয়। তাই ভারতের ক্ষেত্রে যদি এককালীন ছাড় দেয়া হয় তা হলে গোটা বিষয়টিই লঘু হয়ে যেতে পারে। রাশিয়ার কাছ থেকে উচ্চপ্রযুক্তি এবং বহু মূল্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জুজু ঝুলছে গত কয়েক মাস ধরেই।

নয়াদিল্লিও সাধ্যমতো দৌরাত্ম্য চালিয়ে গেছে আমেরিকার সঙ্গে। ভারতের বক্তব্য, যেহেতু এই চুক্তিটি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পাকা কথা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার দীর্ঘদিন আগেই হয়ে গেছে, তাই এর থেকে এখন আর সরে আসা সম্ভব নয়। তা ছাড়া এই একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় বলীয়ান হয়ে রয়েছে পাকিস্তান ও চীন। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে হাতে এস-৪০০ আসা আশু প্রয়োজন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর, দোভাল যাওয়ার আগে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রযুক্তিবিদ দল ওয়াশিংটন যায়। একজন এয়ার মার্শালের নেতৃত্বাধীন এ প্রতিনিধিদল পেন্টাগনে গিয়ে বিশদ আলোচনা করে দেশটির সামরিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।

সূত্রের খবর, মার্কিন এরিয়াল প্ল্যাটফর্মে থাকা আমেরিকার ইলেকট্রনিক সিগনেচারসহ বিভিন্ন গোপন তথ্য কোনোভাবেই অন্য কোনো দেশের সঙ্গে ভাগ করে নেয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ওয়াশিংটনকে। কথা দেয়া হয়েছে, রাশিয়ার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনলেও আমেরিকার কোনো সংশ্লিষ্ট এনক্রিপটেড তথ্য তাদের জানানো হবে না। তবে এত স্পর্শকাতর বিষয়ে শুধু মুখের কথাতেই ট্রাম্প প্রশাসন ছাড় দিতে রাজি হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত নয় দিল্লি।

যেসব বেসরকারি মার্কিন সংস্থাগুলো ভারতকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে তাদের সঙ্গেও লবি করছে নয়াদিল্লি। এ মার্কিন সংস্থাগুলোও চাইছে না ভারত নিষেধাজ্ঞার খপ্পরে পড়ুক। তা হলে নয়াদিল্লির সঙ্গে তাদের বিপুল অঙ্কের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে।