বিশ্বচরাচর ডেস্ক : দু’বছর ধরে এক বন্দীকে নিয়ে বিব্রত থাইল্যান্ডের কোর্ট। ব্যাংককের মহা চাই রোড জেলের ৮ নম্বর বন্দি মুদাস্থুসেইন ওরফে মুন্না জিনগাদা আসলে কোন দেশের নাগরিক?
কারণ ভারত-পাকিস্তান দু’দেশই দাবি করেছে, ২০০০ সালে কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মুন্না তাদের নাগরিক। আর এতেই বিপাকে পড়েছে থাই আদালত। দিল্লি সূত্রে খবর, এই মুন্না আসলে কুখ্যাত ডন দাউদের ঘনিষ্ঠ শাগরেদ। দাউদের নির্দেশেই ছোটা রাজনের উপর হামলা চালিয়েছিল মুন্না। যে ঘটনায় রোহিত বর্মা নামে একজন মারা গিয়েছিল। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় মুন্নাকে। ১৯৯৭ সালে নেপাল সীমান্ত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরীর বাসিন্দা মুন্না। তার বিরুদ্ধে ৭০টিরও বেশি মামলা দায়ের রয়েছে ভারতে। এর আগেও মুন্নাকে ভারতে ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাংকক সফরের পর সেই কাজে গতি আসে। দেশের এক উচ্চ নিরাপত্তা আধিকারিক জানান, এরপরই নড়েচড়ে বসে ইসলামাবাদ। মুন্নাকে একবার এ দেশে আনা গেলে দাউদ সম্পর্কে আরও তথ্য ভারতের হাতে চলে আসবে। এমনকি দাউদ এবং পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে যোগসাজশের একাধিক তথ্যও পাওয়া যেত। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে পাকিস্তান সরকার ও আইএসআই। কারণ সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবারও প্রমাণিত হয়ে যেত, পাকিস্তানই সন্ত্রাসের আঁতুরঘর। এরপরই তড়িঘড়ি পাল্টা আবেদন জানায় আইএসআই। ভুয়ো পরিচয়পত্র এবং বিয়ের প্রশংসাপত্র দেখিয়ে আদালতকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টাও করা হয়। এখানেই শেষ নয়, আদালতকে আইএসআইয়ের উকিলরা জানায়, পাকিস্তানে মুন্নার বাবা মারা গিয়েছে। এমনকি সেই সংক্রান্ত ভুয়ো প্রশংসাপত্রও জমা দেয়। তবে পাল্টা নথি জমা দেন ভারতীয় আইনজীবীরা। এমনকি মুন্নার পরিবারকে আদালতের সামনে দাঁড় করানো হয়। এখন দিল্লি আশাবাদী, শিগগির এই মামলায় জয় নিশ্চিত হবে এবং মুন্নাকে ভারতে ফেরানো যাবে।