বিশেষ প্রতিনিধি : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার নাম করে বিদেশে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বাংলাদেশের কারাগারে অন্তরীণ থাকলেও তার জনপ্রিয়তার কোনো কমতি হয়নি বরং বেড়েছে। সেই সঙ্গে সরকার তাকে গ্রেফতার করে যে সুবিধা পাবে বলে মনে করেছিল, তা না পাওয়ায় এখন নতুন করে কৌশল করছে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে চেষ্টা চলছে তাকে চিকিৎসার নামে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার। খবর নিয়ে জানা গেছে, তাকে বিদেশে পাঠানোর তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সৌদি আরব ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। ওই দুই দেশে তার চিকিৎসা করা হয়। লন্ডনেও তার চিকিৎসা হয়। কিন্তু সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ লন্ডনে গেলে মা ও ছেলে রাজনৈতিক নানা চাল দিতে পারেন ও সমীকরণ করতে পারেন। চেষ্টা করতে পারেন নতুন করে ষড়যন্ত্র করার। সেই সুযোগ যাতে না পায়, এ জন্য তিনি লন্ডনে যেতে চাইলেও তাকে সেখানে যেতে দেওয়া হবে না।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে পারলে সব দিক থেকেই সরকারের সুবিধা। কারণ তিনি দেশে থাকলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে মনোভাব ও মনোবল অটুট থাকবে এবং তারা খালেদাকে মুক্ত করার জন্য যেকোনো সময় আন্দোলনের চেষ্টা করতে পারেন বলে মনে করছে সরকার। খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুতে তখন কোনো দিক থেকে বিএনপিকে সমর্থন দিলে ও উসকে দিলে যেকোনো সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল ও বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী সংস্থাগুলো এর পেছনে সমর্থন দিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন হতে পারে। যদিও সরকার মনে করছে, সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া বিদেশে থাকলে সরকারের জন্য সুবিধা হবে। সূত্র জানায়, সরকারের কৌশল হচ্ছে সেটা বলা, সরকার তাকে বিদেশে পাঠায়নি। তাকে চিকিৎসার প্রয়োজনেই বিদেশে পাঠানো হয়েছে এবং সেটা বিএনপিরই দাবি। তিনি দেশে না থাকলে জনগণের মধ্যে এখন যে মনোভাব বিরাজ করছে, সেটা থাকবে না। সবাই মনে করবে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে আছেন। তাতে সব দিক থেকেই সুবিধা হবে সরকারের ও আওয়ামী লীগের। সরকার খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চান। বিএনপির একাংশ হলেও নির্বাচনে আসবে সেটাই চাইছে। ইতোমধ্যে সরকার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে তিনি দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতি করার কারণে তার শাস্তি হয়েছে। এখানে সরকারের করণীয় কিছুই নেই।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর তিনি প্রথম দিকে সুস্থ ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ইতোমধ্যে চারজন চিকিৎসক পরীক্ষা করেছেন। তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়েছেন। তবে তাকে চিকিৎসার জন্য এখনই বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো পরামর্শ দেননি।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার হাঁটুতে সমস্যা রয়েছে। দাঁতেও সমস্যা রয়েছে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যাও রয়েছে। সেই অনুযায়ী তার নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। তাকে সার্বক্ষণিক পরিচর্র্যার পাশাপাশি চিকিৎসকেরা নিয়মিত পরীক্ষা করতেন। এছাড়া তিনি সৌদি আরব ও লন্ডনে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছরও তিনি এ জন্য লন্ডনে যান। সেখানে চিকিৎসা করান। তাকে আবার রুটিন চেকআপের জন্য আগামী বছর লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারাগারে বন্দী রাখার কারণে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। এতে করে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার নাম করে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা সরকারের ছিল না। কিন্তু বিশেষ একটি গোষ্ঠী ওয়ান ইলেভেনের ফর্মুলা ফলো করে তাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার জন্য ও জনগণের চোখের আড়াল করতে, সেই সঙ্গে তাদের মন থেকে দূরে সরানোর জন্য আগামী নির্বাচনের আগে তাকে চিকিৎসার নাম করে বিদেশে পাঠিয়ে দিলে সব দিক থেকেই সুবিধা হবে বলে পরামর্শ দেয় নীতিনির্ধারকদের। তাদের যুক্তি নির্বাচনে তিনি বিদেশে বসে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক মহলও সরকারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারবে না। তারা সবাইকে বোঝাতে পারবে যে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। একদিকে বিএনপির দাবি, অন্যদিকে সরকারের উদারতা।
সূত্র জানায়, সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে সব ধরনের সুবিধা না দিয়ে ও সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে ধীরে ধীরে আরো বেশি অসুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাকে বিদেশে পাঠানো জরুরি, সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে সরকার। তিনি অসুস্থ হয়ে গেলে সব দিক থেকেই সুবিধা হবে। খালেদা জিয়াকে প্রতারণা করে সরকার দ্রুত বিদেশে পাঠাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপির একাধিক নেতা।
সূত্র জানায়, সরকার তাকে চিকিৎসার নাম করে আরো অসুস্থ করে ফেলবে। এ অবস্থায় বিএনপি থেকে দাবি উঠবে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। সেই দাবি জোরালো না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিদেশে পাঠানো হবে না। যখন তার অবস্থা অনেক খারাপ হবে, তখন তাকে বিদেশে পাঠানো হবে। আর বলা হবে, সরকার তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশেই তার চিকিৎসা হতো। দেশের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করতে পারবেন এমনটি হওয়ার পরও বিএনপির নেতারা দাবি করেন তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। সে জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে জনমত তৈরির কাজ চলছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেখা করার সিডিউল থাকার পরও তিনি তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন মির্জা ফখরুল বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক। তিনি এ কথা বলার পরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার যে অবস্থা তাতে করে তাকে বিদেশে পাঠানোর দরকার নেই। দেশেই তার চিকিৎসা করা সম্ভব। বিএনপির একাধিক নেতা মনে করছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেওয়া ঠিক হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার এই দেশেই চিকিৎসা সম্ভব হবে। এ কারণে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পরে ভিন্ন কথা বলেছেন।
সূত্র জানায়, ওয়ান ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হয়। ওয়ান ইলেভেনের নায়করা তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার ভিসার আবেদন করে সৌদি দূতাবাসে। তিনি বিদেশে যেতে চান না, জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গণমাধ্যমের এমন খবরের পর সৌদি দূতাবাস তার নামে কোনো ভিসা ইস্যু করেনি। এমনকি তারা বলে দেয়, খালেদাকে ভিসা দেওয়া হবে না। যদি তিনি নিজে ভিসার জন্য সশরীরে দূতাবাসে উপস্থিত না হন। তার কোনো প্রতিনিধিও আবেদন করলে হবে না। সৌদি আরব খালেদা জিয়াকে সব সময় রাজকীয় অতিথি হিসেবে সেখানে নিয়ে গেলেও ওই সময়ে তার বিদেশে যাওয়া ঠেকাতে এই ব্যবস্থা করে। যে কারণে ওই সময়ে সৌদি আরব তার নামে কোনো ভিসা ইস্যু করেনি। এরপর উপায় না পেয়ে তাকে জোর করে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রাতের বেলা র্যাবের তত্ত্বাবধানে তাকে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সব বন্দোবস্ত করার পরও এবং বাসার সামনে গাড়ি আসার পরও তিনি রাজি হননি। তার নামে ডলারও কেনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। ওই সময়ে দুই নেত্রীকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান কিন্তু খালেদা জিয়া যাননি।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের আগেই বিদেশে পাঠানো হতে পারে। উপলক্ষ দেখানো হবে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। তিনি বিদেশে গেলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না এ নিয়েও সংশয় তৈরি হবে। কারণ কোনো ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করলে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে হাইকমিশনের মাধ্যমেই প্রক্রিয়া করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া করা তার জন্য সহজ না-ও হতে পারে। অন্যদিকে তার পাঁচ বছরের শাস্তি হওয়ার পর তিনি জামিন পেলেও মুক্তি পাননি। কারণ একটি নাশকতার মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। এ অবস্থায় ওই মামলায় তার জামিন না হলে তাকে কারাগারেই থাকতে হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের দুটি রায় থাকার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সরকারের নির্দেশেই কাজ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই চলছে বিএনপি জোট ভাঙার প্রক্রিয়া। নির্বাচনের আগে এই জোট ভাঙতে পারলে নতুন করে নতুন জোট গঠিত হতে পারে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য জোটেও বিএনপির জোটের দলগুলো চলে যেতে পারবে। বিএনপি জোটকে দুর্বল করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার সিগন্যালের অপেক্ষা করছে সরকারবিরোধী দলগুলোর বৃহত্তর ঐক্য গঠন প্রক্রিয়া। তিনি সিদ্ধান্ত দিলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ঐক্যের ভিত্তি ও কৌশল কী হবে, সেটা ঠিক করা হবে। বিএনপির জোট বড় করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে তার মধ্যে আছে বিকল্প ধারা, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি। এছাড়া বাম-গণতান্ত্রিক ধারার ৩টি দল, ধর্মভিত্তিক ঘরানার ৩টি দল ও নিবন্ধিত অন্তত ৫টি ছোট দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। জোটে যারা নতুন করে সম্পৃক্ত হতে চান, তারা মনে করছেন, আলোচনা শুরু হয়েছে। দফাও কিছু দেওয়া-নেওয়া হচ্ছে। এর ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে উঠবে। সুষ্ঠু নির্বাচন, জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে জোটের প্রসার হতে হবে। এসব বিষয়ে সমাধান না হলে হবে না। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার অনুমতি ও দিকনির্দেশনা নেবেন। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে আর দেখা হয়নি তাদের। কারণ বিএনপির কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে খালেদা জিয়া, লন্ডনে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সঙ্গে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এ জন্য তিন পক্ষের মধ্যে আলোচনা করেই সমন্বয় করতে হবে।
বিএনপির নেতাদের লক্ষ্য নেত্রীকে দ্রুত মুক্ত করতে হবে, এ জন্য আইনি ও রাজপথে রাজনৈতিক লড়াই চলবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি। তারা আশাবাদী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে।
বিএনপি মনে করে, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য করতে হবে। কোনো কোনো ইস্যুতে সমঝোতা হবে, সেটাও তারা ঠিক করবে। আলোচনার জন্য খালেদার সিদ্ধান্ত জানা জরুরি। তার জামিন হতে দেরি হলে কারাগার থেকেই সিদ্ধান্ত নেবেন। নেতারা মনে করছেন, আগে জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, এরপরই বাকি বিষয়গুলোকে নিয়ে সামনে এগুবো। জাতীয় ঐক্যের কথা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বলেছেন। আর জাতীয় একটি ঐক্য ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে। সরকার বিরোধী দলগুলো খালেদা জিয়ার কারাবন্দী ও মুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে ভাবছে।
সূত্র জানায়, একদিকে খালেদাকে বিদেশ পাঠানো, অন্যদিকে জোট ভাঙার চেষ্টা সব মিলে ষড়যন্ত্রের মুখে রয়েছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে দলের নেতা-কর্মী ও জোট নেতাদের বলা হয়েছে যেকোনো মূল্যে জোটের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হবে তবে এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। তারা নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতেও বলেছেন। বিএনপির সংস্কারবাদীদের দিয়েও যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র সফল না হয়, সে জন্য খালেদা জিয়া গত বছরই তাদের ডেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য বলেছেন। এছাড়া যেসব নেতাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তাদের সঙ্গেও খালেদা জিয়া কথা বলেছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও সেটাও তিনি থামানোর চেষ্টা করেছেন। তারও গুরুত্ব বাড়িয়েছেন তিনি।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের একজন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বন্দী করেছে। আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছে। আগামী দিনে তাকে বিদেশ পাঠানোর ষড়যন্ত্র হতে পারে। সেই সব ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। তিনি স্বেচ্ছায় যদি বলেন, চিকিৎসার জন্য তার বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন ও তিনি যেতে চান, তাহলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে চেয়ারপারসন নেতাদের কিংবা পরিবারের সদস্যদের বলে দেবেন তিনি কী করবেন। তারা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে না চাইলে সরকার বললে কিংবা সরকারের মনোনীত চিকিৎসকেরা বললেও তিনি যাবেন না। বিদেশ পাঠানোর জন্য কোনো ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেওয়া হবে না। সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।