
ঢাকা অফিস : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড এলাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যেকোনো সময় কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নতুন নির্মিত মহিলা কম্পাউন্ডে স্থানান্তর করা হবে। এরই মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে।
কারাগার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে প্রায় ৩০০ নারী বন্দির জন্য একটি কম্পাউন্ড তৈরি করেছে। সেখানে দুটি চারতলা ও একটি একতলা ভবন রয়েছে। কারাগারের ভেতরে প্রায় শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ চলছে। একতলা ভবনটি কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে। সেখানে ডিভিশনপ্রাপ্ত ভিভিআইপি বন্দিদের রাখা হবে। কারা অভ্যন্তরে মোট তিনটি ভবনের মধ্যে একতলা বিশিষ্ট (ডিভিশনপ্রাপ্ত) একটি ভবনে খালেদা জিয়াকে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওই কারাগারের পাশে চকবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে খালেদা জিয়াকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসার পরে কারা কর্তৃপক্ষ স্থানান্তরের বিষয়টি অনেকটা চূড়ান্ত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি সেল ও কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেন। এরপরই কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিষয়টি খালেদা জিয়াকে জানানো হয়। তাতে খালেদা জিয়া বিরক্ত হন। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যেতে চান না সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের নির্ধারিত ভিআইপি সেলেও যেতে চান না তিনি। কারা কর্তৃপক্ষকে নিজের এমন মনোভাবের কথা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, পুরান ঢাকার কারাগারটি নিয়ে সরকারের ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। শুনেছি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে কবে, কখন তাকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।