খুলনার ২২টি খাল ৮১ প্রভাবশালীর দখলে

খুলনা : একাত্তরের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির ১০ বছর আগে থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাসস্থানের প্রয়োজনে নগরীর পরিধি বেড়ে যায়। বসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাসজমি ও খাল দখলের প্রতিযোগিতা চলে, সব সরকারের আমলে। ২২টি খাল দখল করেছে ৮১ প্রভাবশালী। ২২ খালের মধ্যে অধিকাংশই এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমের আষাঢ়-আশ্বিন মাস নগরীর একটি বড় অংশে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্ষার এ চার মাস দুর্ভোগ পোহায় দুই লাখের বেশি নগরবাসী।

সিটি করপোরেশনের ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি এক প্রতিবেদনে নগরীর খালগুলো দখলের জন্য ৮১ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক মো. সিরাজুল ইসলাম, তেতুলতলার মো আলী আহমেদ, সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা নিরালার মো. আবেদ আলী, বাগমারার মো. খলিলুর রহমান, আবদুল মান্নান, খোলা বাড়িয়ার মো. শহিদুল ফকির, সাহেব আলী শেখ, বাদল, চপল, হেকমত গাজী, জব্বার হোসেন, নিরালার আফতাব আলী, হাজী বাড়ির মনিরুজ্জামান এলু, এরশাদুজ্জামান ডলার, সাগর, মিসেস আজিজ, আবুল হোসেন শেখ, হরিণটানার মো. আলমগীর, হাজী ইমান আলী, আলকাতরা মিল এলাকার আলেয়া খাতুন, নিরালা এলাকার আবুল কালাম আজাদ, নিরালা এলাকার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান, তালুকদার আবদুল জলিল, মো. ইউসুব আলী, মো. নুর, অবসরপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. সাজাহান, সৈয়দপুর ট্রাস্টের লিজ হোল্ডার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুল কাদির খোকন ও মাথাভাঙার ক্লিপ অধিকারী। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, গোলাবাড়ি সমিতি, ৩১নং ওয়ার্ড অফিস, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা ক্রিয়া কমপ্লেক্স, হার্ড টু রিচ প্রকল্প ইত্যাদি।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠলেও খালের ওপর থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। দখলদাররা যত বেশি প্রভাবশালী হোক না কেন, এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।