ঠিকানা অনলাইন : দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা কানাডার বিপক্ষে প্রচণ্ড ঘাম ঝরিয়ে জিতল বেলজিয়াম। প্রথমার্ধে দেওয়া বাতশুয়াইর একমাত্র গোলেই কষ্টার্জিত জয় পায় বেলজিয়াম। অথচ পুরো ম্যাচেই ছিল কানাডিয়ানদের দাপট। আক্রমণভাগে যোগ্য একজন ফুটবলার থাকলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারত তাদের।
অন্যদিকে ভাগ্যও পক্ষে ছিল না কানাডার। ম্যাচের ৮ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় কানাডা। বেলজিয়ামের ডিবক্সের ভেতর কারাসকোর হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন কানাডার বায়ার্ন মিউনিখের তারকা আলফোনসো ডেভিস। বেলজিয়ান গোলরক্ষক কুর্তোয়া ডান পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডেভিসের মাটি কামড়ানো শট রুখে দেন। রিবাউন্ডেও বল গোলবারের বাইরে মারেন লারিয়া।
ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় বল নিজেদের দখলে রাখে কানাডা। গোলমুখে ছয়টি শটের মধ্যে দুটিই ছিল অন টার্গেটে। পক্ষান্তরে বেলজিয়াম মাত্র দুটি শট নিতে পেরেছে গোলমুখে।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে বেলজিয়ামের পেনাল্টি বক্সের ভেতর লারিয়া পড়ে গেলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেননি। এর ঠিক ৪ মিনিট পরে অল্ডারউয়েরেল্ডের বাড়ানো বলে বাতশুয়াইর অন টাচ শট দেখা পায় জালের ঠিকানা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বেলজিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেলজিয়ামের ওপর দাপট দেখাতে থাকে কানাডা। ৪৯ মিনিটে ডেভিডের হেড একটুর জন্য গোলবারের বাইরে চলে যায়। ৬৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। ডিবক্সের ভেতর বাতশুয়াইর শট ব্লক করে দেন লারিয়া।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোলের আবারো সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। কিন্তু ডেভিডের করা হেড দুর্দান্তভাবে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কুর্তোয়া। ম্যাচে ৩২টি গোলের চেষ্টা করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় কানাডা। অন্যদিকে মাত্র ৯টা শট নিতে পারে বেলজিয়াম। কষ্টার্জিত এই জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এল বেলজিয়াম।
ঠিকানা/এনআই