গভীর নিম্নচাপটি রূপ নিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে, বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত

ঠিকানা অনলাইন : পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। ২৩ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যার দিকে এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সন্ধ্যায় প্রকাশিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, দেশের ১৯টি জেলা এবং উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৫ অক্টোবর ভোরে বাংলাদেশের তিনকোনা এবং সন্দ্বীপের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি।

এর আগে এটি নিম্নচাপ থাকা অবস্থায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছিলেন, নিম্নচাপটি এখনো ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে নাম দেওয়া হবে সিত্রাং। দেশের ১৯টি জেলার ৭৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকায় ৩-৫ ফুট উচ্চ জোয়ার নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

গভীর নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার রাত নয়টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থান করছিল। শুরুতে এটি বরিশালের দিকে এগোতে থাকলেও ঘূর্ণিঝড়টি রাত নয়টার দিকে খুলনা-বাগেরহাটের দিকে এগোতে থাকে। এটি সোমবারের মধ্যে আবারও বরিশাল ও নোয়াখালীর দিকে মুখ করে এগোতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তবে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করার সময় দুর্বল না শক্তিশালী থাকবে, তা সোমবারের মধ্যে বোঝা যাবে। সোমবার অমাবস্যা। এ সময়ে সমুদ্রে জোয়ারে পানির উচ্চতা এমনিতেই বেশি থাকবে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও ঝোড়ো বাতাস। ফলে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে।

ঠিকানা/এনআই