ঠিকানা অনলাইন : গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর সবুজ বার্নার্ড ঘোষাল (৩১) নামের গার্মেন্ট কর্মীর ৮ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল হোতা শাহিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২ অক্টোবর (রবিবার) তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জবানবন্দি অনুযায়ী, ওইদিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জের নাগরীতে তার ভাড়া বাড়ি থেকে নিহতের রক্তমাখা জামা কাপড় ও হত্যায় ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।
গ্রেফতারকৃত শাহীন সাতক্ষীরা জেলার তালা থানাধীন এলাকার বাসিন্দা। সে কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। অন্যদিকে, নিহত সবুজ উপজেলার একই ইউনিয়নের ভাসানিয়া গ্রামের অমূল্য বার্নার্ড ঘোষালের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের পানজোড়া গ্রামের পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেডে কোয়ালিটি চেকার (কিউসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সবুজ পরিবারের একমাত্র সন্তান ও তার ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া হত্যায় ব্যবহার করা বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে কর্মস্থল পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ফ্যাক্টরির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় সবুজ। রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খবর করে। সন্ধান না পেয়ে পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহতের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। পরে নিখোঁজের তিন দিন পর ১ অক্টোবর (শনিবার) সকালে তিন খণ্ড ও সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি পায়ের কিছু অংশ ছাড়া লাশের সাত খণ্ড উদ্ধার করা হয়। ২ অক্টোবর (রবিবার) বাকি অংশসহ আট টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঠিকানা/এসআর
