গিলিব্র্যান্ড, রাশেদা ও ইলহানকে নিয়ে মে’তে কমিউনিটির অনুষ্ঠান

ঠিকানা রিপোর্ট : ইউএস সিনেটের প্রভাবশালী সদস্য ক্রিস্টেন গিলিব্র্যান্ড আগামী মে মাসে নিউইয়র্কে আসছেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির আমন্ত্রণে জ্যাকসন হাইটসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। জ্যাকসন হাইটসের পাশাপাশি লং আইল্যান্ডেও একটি অনুষ্ঠান হতে পারে। দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজনই করবে বাংলাদেশি কমিউনিটি। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক থাকবেন প্রিমিয়াম সুপার মার্কেটের কর্ণধার বাবু খান।
এদিকে ইউএস কংগ্রেসওমেন রাশিদা তালিবকে নিয়েও অনুষ্ঠান হবে। তিনি এর আগেই আসার কথা ছিল। তিনি গত ১৮ মার্চ একটি অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে এসেছিলেন তিনি। তখন বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিকল্পনা ছিল তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করার। কিন্তু রাশিদা তালিবের হাতে সময় না থাকায় অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। এবার রাশিদা তালিবের জন্য মে মাসে অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার জন্য অনুষ্ঠানটি জ্যাকসন হাইটসেই হতে পারে। রাশিদা তালিবের অনুষ্ঠানটিও বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এই আয়োজনে বাংলাদেশি কমিউনিটির বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা রয়েছেন, এর মধ্যে শাহনেওয়াজ মূল হিসেবে কাজ করবেন।
এদিকে ইউএস কংগ্রেসওমেন ইলহান ওমরকে নিয়ে এর আগে ফান্ড রেইজিংয়ের একটি অনুষ্ঠান হয়েছে। লং আইল্যান্ডে গিয়াস আহমেদের বাসায় অনুষ্ঠানটি হয়। পশাপাশি এখন নতুন করে তার জন্য আরো একটি ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠান হবে জ্যাকসন হাইটসে। সেখানে ফাহাদ সোলায়মানসহ কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই থাকবেন গিয়াস আহমেদ, ফাহাদ সোলায়মান, বাবু খান, শাহনেওয়াজ, মাজেদা উদ্দিনসহ কমিউনিটির পরিচিতজনেরা। আয়োজকদের একজন বলেন, ক্রিস্টেন গিলিব্র্যান্ড, ইলহান ওমর ও রাশিদা তালেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, তারা মে মাসে আসবেন। তারা যখন সময় দেবেন, তখনই অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। তাই অনুষ্ঠানের তারিখ পরে জানানো হবে। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে কারা কারা থাকবেন, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে সাধারণত কাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এমন সব মানুষকে রাখার, যারা এই সমাজের পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে কমিউনিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছেন, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ভালো অবস্থানে রয়েছেন, পেশাগত জীবনে সফল, সুনাম অর্জন করেছেন। যারা এ দেশে এসে লেখাপড়া করেছেন, বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে কর্মরত আছেন, এখানে ব্যবসা করে সফল হয়েছেন, সুনাম অর্জন করেছেন, সেসব মানুষকেও আমরা আমন্ত্রণ জানাই। আসলে অনুষ্ঠানগুলোতে চাইলেও অনেক মানুষকে দাওয়াত দেওয়া যায় না। কারণ এখানে স্পেসের একটি ব্যাপার আছে, খরচের ব্যাপারও থাকে। কমিউনিটির এমন সব মানুষকে সেখানে উপস্থিত করা হয়, যাদের কাছ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয় জানতে পারেন। আমাদের কমিউনিটি যে দিনে দিনে এগিয়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন সেক্টরে ভূমিকা রাখছে, সেটিও আমরা তুলে ধরতে চাই। বাংলাদেশ কমিউনিটি এখন পিছিয়ে নেই। সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আমেরিকার অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে যে বাংলাদেশিদের অবদান রয়েছে, তা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জানাতে চাই। আশা করা যায়, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং গুরুত্ব দেবেন। এ ব্যাপারে আয়োজকদের আরেকজন বলেন, আমরা কমিউনিটির বরেণ্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব। তারা অনুষ্ঠানে আসবেন এবং বাংলাদেশিদের অবস্থান তুলে ধরবেন। সেই সঙ্গে আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন্য ফান্ড রেইজ করব। এরপর সেটি তাদের দেওয়া হবে। এর আগে আমরা ইলহান ওমরের জন্য ১০ হাজার ডলার দিয়েছি। আগামীতে যেসব অনুষ্ঠান করব, সেখানে হয়তো আরো বেশি ফান্ড দিতে পারব।