গোলরক্ষক সমস্যা কাটানোর ভাবনা

স্পোর্টস রিপোর্ট : ৬ পয়েন্ট পেয়েও ঘরের মাঠে সাফ ফুটবলের সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ; নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ০-২ গোলে হেরে চূড়ান্ত সর্বনাশ হয়। তবে দলের ম্যানেজমেন্টে যে সমস্যা আছে সেটা সাফে খুঁজে পেয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বড় বিতর্ক দল গঠন। বিশেষ করে ক্যাম্পের বাইরে থেকে হুট করে আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের একাদশে ঢুকে যাওয়া ছিল তীব্র সমালোচনায়; নেপালের বিপক্ষে ৩৮ মিনিটে গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের অবিশ্বাস্য গোল হজমে চার দিকে সমালোচনার জন্য, বিতর্ক চলছে আক্রমণভাগ নিয়েও। যদিও সালাউদ্দিনের চোখে আক্রমণভাগ না, সমস্যা গোলরক্ষক নিয়ে। জাতীয় দলের ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কাজও শুরু করেছেন। তদন্ত কতদূর, প্রতিবেদন কবে দেবেন বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘কাজ করছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি।’ যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সালাহউদ্দিন, তাতে তার কাছে টিম ম্যানেজমেন্টের সমস্যাগুলো বেশি ধরা পড়েছে। কাল বলেনও, ‘বড় সমস্যা ম্যানেজমেন্টে। তাদের ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে। নয়তো নেপালের কাছে হারতে হয় না, অথচ ভুটান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ খেলেছে ছেলেরা।’ ম্যানেজমেন্টের সমস্যার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাফুফে সভাপতি জানালেন, ‘জাকার্তা এশিয়াড ও সাফ নিয়ে গুলিয়ে ফেলেছে ম্যানেজমেন্ট। এশিয়াডে কাতার, থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান, উত্তর কোরিয়ার মতো দলের বিপক্ষে ভালো খেলল, গোল করল, সাফে কেন নেপালের কাছে হেরে গেল? এশিয়াড ও সাফ দুটি ভিন্ন টুর্নামেন্ট, প্রতিপক্ষও ভিন্ন। এশিয়াডের পদ্ধতি সাফে প্রয়োগ হতেই পারে না। খেলার ফরমেশন যতটা ভিন্ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটা মনে হয়নি। কৌশলটা যথাযথ হয়নি। এখানে টিম ম্যানেজমেন্টের সমস্যাই দেখছি বলছিলেন বাফুফে সভাপতি।

জাতীয় দলে গোলরক্ষকে বেশি সমস্যা মনে করেন সালাউদ্দিন। এশিয়াডে কাতারের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময় ও সাফে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দিকে করা গোলে জয়ের উদাহরণ টেনে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘প্রথম দিকে গোল হজম না করায় স্ট্রাইকাররা শেষ পর্যন্ত পরিশ্রম করে গোল আদায় করতে পেরেছিলেন। শুরুতে গোল খেলে স্ট্রাইকাররা চাপে পড়ে যায়, সাফে হয়েছে নেপাল ম্যাচে। প্রথমার্ধে গোল না খেলে হয়তো স্ট্রাইকাররা গোল বের করতে পারত।’

গোলরক্ষক সমস্যা কাটাতে বিদেশি কোচ খোঁজা শুরু করেছে বাফুফে; এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফে। ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে ছুটি কাটিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা ফিরলেই বিদেশি কোচ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। তবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগে না। কারণ, কোচ নির্বাচনে তাড়াহুড়া করতে চায় না বাফুফে। বিদেশি কোচকে দিয়ে গোলরক্ষকদের জন্য বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও করা হবে। ‘২০ জন গোলরক্ষক বাছাই করে তাদের বিদেশি কোচ দিয়ে সারা বছর অনুশীলন করাব। আশা করি, তাতে গোলপোস্টের নিচের দুর্বলতা দূর হবে’ মনে করেন বাফুফে সভাপতি।
১ অক্টোবর লাওসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে স্বাগতিক বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ মিশন। ২০১৫ আসরে মালয়েশিয়ার কাছে ৩-২ গোলে ফাইনাল হার স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ অর্জন, এবারও ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। ২১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে জামাল ভূঁইয়াদের ছয় জাতির বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রস্তুতি। ৩৩ থেকে ৩৪ জন ফুটবলার ডাকা হবে ক্যাম্পে, অনুশীলন হবে ঢাকায়। ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন মুখও কিছু থাকবে জানান বাফুফের টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি।