রাজিনা চৌধুরী
বড় ইচ্ছে করছে মুষ্টিবদ্ধ হাতটা আকাশচুম্বী করতে।
বাংলা যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সূতিকাগার, সেই গর্বের গন্ধটা গায়ে মেখে থাকতে।
কেন জানি সন্ধ্যা নামলে সালাম বরকতের বিগ্রহের দেখা পাই।
তাদের অভীক মনটা মেদিনীতে আটকে রাখার চেষ্টা আমায় করছে আচ্ছন্ন।
তাদের আত্মবিশ্বাসী জ্যোৎস্না আমি ছুঁতে পারিনি, তাই দাঁড়িয়ে দেখছি আগামীর ভবিষ্যৎ ইতিহাসটা।
সে-রকম উত্তরাধিকার আমাদের একুশ তুমি।
ঘামের শিশিরকুচি শোভিত ইস্পাত, মিছিলের অগ্রভাগে যে যুবকের টগবগে রক্তের স্ফুলিঙ্গ কবির কবিতায় উৎপাদিত তুমি সে একুশ।
স্মৃতি-বিস্মৃতির ওপর থেকে সব রৌদ্রের উজ্জ্বল পোশাক পরে ভূগোলকের প্রতিটি তীরে আন্দোলিত আচ্ছন্ন এক শত কোটি মায়ের মুখের কথা।
একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্ব স্বীকৃতি উজ্জ্বল শিখা সেই অমর সংবাদ ঢেউ তুলে দিল উৎসারিত অন্তহীন নদীতে।
অসম্ভব স্নেহ আর ভালোবাসা দিয়ে ভাষাশহীদেরা আমাদের পৌঁছে দিয়েছে এ দরজায়।
অনেক শব্দে শব্দে শতাব্দীর অর্জন আজকের একুশ।
তোমার জন্য আগামী প্রজন্ম আমাদের কপালে দেবে গৌরবের চুম্বন, করবে সূর্য প্রণাম।
আর এক সূর্য সন্ধ্যারাগে ছড়িয়ে দেবে শঙ্কাহীন পাখির ঘরে ফেরার দুরন্ত ইচ্ছে।