গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির ৩ পদে নির্বাচন সম্পন্ন

সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

ঠিকানা রিপোর্ট : উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির নির্বাচন। এই নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি তিন পদ- ট্রেজারার, সহ-ট্রেজারার ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গত ৩০ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি পদে দুজন করে প্রার্থী ছিলেন। ট্রেজারার পদে বর্তমান ট্রেজারার মহিউদ্দিন, সহ-ট্রেজারার পদে বর্তমান সহ-ট্রেজারার জামাল উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. নুরুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। বিজয়ী তিনজনই মানিক-জসিম প্যানেলের প্রার্থী।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান মানিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল বাসার, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ টি মিয়া, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউসুফ (জসিম), অ্যাডভার্টাইজিং সেক্রেটারি আইনুল ইসলাম (সোহেল), রিলিজিয়ন অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, স্পোর্টস এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম, অফিস সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মিরন, কার্যনির্বাহী সদস্য জাহিদ মিন্টু, মাহমুদুল হক, মো. আব্দুল মালেক খান, মোহাম্মদ মনির হোসেন ও সোহেল আলম ভূঁইয়া। নির্বাচন শেষে কমিশন এই ফলাফল ঘোষণা করে।
৩০ অক্টোবর ব্রুকলিনের ২০২ অ্যাভিনিউতে ভোট গ্রহণ করা হয়। সোসাইটির ১ হাজার ৬৮২ ভোটারের মধ্যে ৮৮৮ জন ভোট দেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. নুরুল ইসলাম বাবু পেয়েছেন ৬১৮ ভোট, ট্রেজারার পদে বর্তমান ট্রেজারার মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৬০৫ ভোট ও সহ-ট্রেজারার পদে বর্তমান সহ-ট্রেজারার জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ৬০৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ২৫৬ ভোট, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. হাসানুজ্জামান ২৬৭ ভোট ও সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে আমির হোসেন পেয়েছেন ২৬৬ ভোট।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশে ১৭ পদে ২১ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচনে মানিক-জসিম প্যানেল থেকে পূর্ণ প্যানেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে কেবল তিনটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ সোহেল (হেলাল)। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন মোহাম্মদ আবুল কাশেম, এ কে এম রশিদ আহমেদ, শাহজাহান কবির ও মোহাম্মদ জয়নাল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সোহেল (হেলাল) বলেন, ১৭টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তখন আমরা বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করিনি। নির্বাচনের দিন সব ফলাফল একসঙ্গে ঘোষণা করি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের ফলাফল সবাই মেনে নিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।