ঠিকানা রিপোর্ট: দ্য রাইট টু নো অ্যাক্ট (আইন জানার অধিকার) শীর্ষক পাইলট কর্মসূচির আওতায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বাধার মুখোমুখি হওয়া লোকজনকে সমন দেয়া এবং গ্রেপ্তারের পরিবর্তে পুলিশ কর্মকর্তাগণ বিজনেস কার্ড হস্তান্তর শুরু করেছেন। বিতর্কিত স্টপ-অ্যান্ড-সার্চেস (থামানো-এবং-তল্লাশি) সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ডিসেম্বরে কার্যকর হওয়া রাইট টু নো অ্যাক্ট নামক পাইলট প্রকল্পের আওতায় ব্রঙ্কসের ৪০ এবং ৪৫ প্রেসিঙ্কট এবং ব্রুকলীনের ৭৫ ও ৯০ প্রেসিঙ্কটের পুলিশ কর্মকর্তাগণ বাধার সম্মুখীন লোকজনকে দেয়ার জন্য সর্বপ্রথম বিজনেস কার্ড পেয়েছেন বলে ১৩ মে জানা গেছে।
পর্যায়ক্রমে সিটি পুলিশ বিভাগের ৩৬ হাজার কর্মকর্তাকে বিজনেস কার্ড প্রদান করা হবে এবং এতে প্রথম বর্ষে ট্যাক্সদাতাদের রাজস্ব থেকে প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। পুলিশের মুখোমুখি হওয়া জনগণকে দেয়া ব্যবসায়িক কার্ডে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার নাম, র্যাঙ্ক এবং শিল্ড নম্বর ছাড়াও সিটি ওয়েব সাইটের তথ্য রয়েছে। সিটি ওয়েব সাইটে কার্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ পুলিশের সাথে তাদের বাধার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়াদি জানতে এবং বডি-ক্যামেরার ফুটেজের জন্য অনুরোধ জানাতে পারবেন। এখন থেকে পুলিশ কর্মকর্তাগণ সন্দেহভাজনদের থামাবেন, দেহ তল্লাশি করবেন এবং বিজনেস কার্ড দিয়ে তাদের ছেড়ে দিবেন। তবে দ্য রাইট টু নু অ্যাক্টের শর্তানুযায়ী লিগ্যাল (আইনানুগ) ভিত্তি ছাড়া সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশির আগে পুলিশ কর্মকর্তাকে সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশির সম্মতি নিতে হবে। আর দেহ তল্লাশি করা হয়ে থাকলে সম্মতি নেয়ার প্রমাণাদি পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করতে হবে।
যে সকল ল এনফোর্স অ্যাক্ট (আইন প্রয়োগ কর্মকান্ড) সন্দেহভাজনদের সাক্ষাৎকার, দেহ এবং গৃহ তল্লাশিসহ গ্রেপ্তার কিংবা সমন জারির মাধ্যমে শেষ হয়না সে সব ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তাগণ প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিজিনেস কার্ড দিতে বাধ্য থাকবেন।
আইন প্রয়োগকারী সূত্রগুলো ওয়েব সাইট রেফারেন্সের কড়া সমালোচনা করেছেন। সূত্রগুলোর মতে ওয়েব সাইট রেফারেন্স সংশ্লিষ্ট কার্ড প্রদান পাহাড়তুল্য লালফিতার দৌরাত্ম্য সৃষ্টি করবে। পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে যে বিজিনেস কার্ড প্রদানের উদ্যোগটি রীতিমত হাস্যাস্পদ। সূত্রটি প্রশ্ন তুলেছে কে বিজনেস কার্ডের পয়সা এবং কে ভিডিও বিলি করবে। কার্ডটি জনগণকে একটি পৃষ্ঠায় যাওয়ার নির্দেশ দিবে। উক্ত পৃষ্ঠায় ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে ফুটেজের কপি পাওয়ার জন্য ভিজিটরকে ফ্রীডম অব ইনফরমেশন ল অনুরোধ দাখিল করার নির্দেশ দিবে।
এ প্রসঙ্গে প্যট্রোলমেন বেনেভোলেন্ট এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক লীঞ্চ বলেন, প্রতিটি পুলিশি কর্মকান্ডের ফুটেজ অবমুক্তির দাবি করার লক্ষে তারা পুলিশ-বিরোধী অ্যাডভোকেটদের জন্য ফ্লাডগেট উন্মুক্ত করতে যাচ্ছেন। পুলিশের তদন্তানাধীন ব্যক্তিদের নিকট পুলিশ কর্মকর্তার নাম এবং যোগাযোগের তথ্য প্রদানে একটি সূতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সূত্রটির মতে এটি বড় ধরনের কলঙ্ক। সূত্রটির ভাষায় দেশে গ্যাঙ্ক সদস্যের অভাব নেই। বর্তমান সময়ে ও দিনে পুলিশের সহজে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।