চকবাজারে হার্ডওয়্যার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : রাজধানীর চকবাজারের ইমামগঞ্জে একতলা একটি হার্ডওয়্যার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আশপাশের অন্তত চারটি বহুতল ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের ৭০ জন কর্মী কাজ করছিলেন। আগুনে দুই শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

বাংলাদেশ সময় রাত একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুনের সূত্রাপাতের কারণও জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়দের দাবি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া শাখা থেকে জানানো হয়েছে, রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট পৌঁছায়। এর মধ্যে আগুন চারদিকে অন্যান্য মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন আশপাশের বাসিন্দারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হার্ডওয়্যার মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত। এ মার্কেটে ঝাড়ু, তারকাটা, আলকাতরাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ছিল। পরে সেখান থেকে আশপাশের অন্তত চারটি বহুতল ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভবনে ব্যাংক, সুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের গুদাম আছে।

ভবনের নিচে কোনো কোনো দোকানে কেমিক্যালও রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ফলে আগুনের তীব্রতা বেড়েছে বলে দাবি তাদের। আগুনে একটি মন্দিরও পুড়ে গেছে।

হার্ডওয়্যার মার্কেটের এক দোকানি জানান, দোকান বন্ধ করে তিনি পাশেই বাসায় যান। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান। পরে দ্রুত ছুটে আসেন মার্কেটে। দেখেন সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রান্সফরমারে মাঝেমধ্যেই আগুন লাগে। এ ছাড়া আগুন নেভাতে মার্কেট কর্তৃপক্ষেরও কোনো উদ্যোগ থাকে না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ আগস্ট চকবাজারের দেবীঘাটের আগুনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হন। সবাই স্থানীয় বরিশাল হোটেলের কর্মচারী। রাতে ডিউটি করে হোটেলের ওপর একটি রুমে তারা ঘুমাচ্ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় চকবাজার এলাকায় আগুনের ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে।

ঠিকানা/এনআই