ঠিকানা ডেস্ক : অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী গীনা ডেভিস কোটি কোটি চলচ্চিত্র প্রেমীর হৃদয়ের রাণী এবং পরম আরাধ্য ধন। উপর্যুপরি ৩ বার দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর চতুর্থবার তিনি বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন লস এঞ্জেলেসের প্লাস্টিক সার্জন ডা. রেজা জারাহীর সাথে। প্রত্যাশা ছিল সুখে-দুঃখে জীবনের বাদ বাকি সময় কাটিয়ে দিবেন পরস্পরের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্যে। নিয়তির নির্মম বিধানে ড্যাভিস ও জারাহীর দাম্পত্য জীবনে শেষ পর্যন্ত রাহুর পদচারণা ঘটেছে এবং তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে ১৩ মে জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, জারাহই রব ডো ভার্সাস ভেরোনিকা ডো শিরোনামে বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আরও জানা যায়, ইরানিয়ান-আমেরিকান ডক্টর জারাহীর জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালে আর ডেভিসের বর্তমান বয়স ৬২ বছর। বিয়ে বিচ্ছেদ পর্বে তাদের ১৬ বছর বয়স্কা কন্যা আলিজেহ এবং যমজ পুত্র কিয়ান ও কেইইসের যৌথ আইনানুগ এবং ফিজিক্যাল কাস্টডী ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে। বরেণ্য অভিনেত্রী ডেভিসের কোন সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নেই এবং সামাজিক মিডিয়াতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তার গীনা ড্যাভিস ইন্টসিটিউট অন জেন্ডার ইন মিডিয়ার কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। জারাহিও এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। ড্যাভিস সর্বপ্রথম সহোর বারোলোর জেনারেল ম্যানেজার রিচার্ড এমোলোর সাথে ১৯৮২ সালের ২৫ মার্চ বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। আর ১৯৮৩ সালের মার্চে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছিল। এরপর ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে ডেভিস খ্যাতনামা অভিনেতা জেফ গোল্ডব্লামের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯০ সালে আবার তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে ড্যাভিস সাড়াজাগানো চিত্র পরিচালক রেনী হার্লিনের পাণি গ্রহণ করেন। তারা একত্রে ১৯৯৫ সালে তারা একত্রে কাথরোট আইল্যান্ড এবং ১৯৯৬ সালে দ্য লং কিস গুডনাইট নামক সাড়া জাগানো মুভি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ১৯৯৭ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অ্যাক্সিডেন্টাল ট্যুরিস্টে সাপোর্টিং অভিনেত্রী হিসেবে ডেভিস একাডেমী পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে থেলমা অ্যান্ড লুইসের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে ডেভিস অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্যান্য সাড়া জাগানো সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে: টুটসী (১৯৮২); বীটলজুইস (১৯৮৮); এ লীগ অব দেয়ার ঔন( ১৯৯২০; স্টুয়ার্ট লিটল (১৯৯৯); মার্জরী প্রাইম (২০১৭)। ২০০৬ সালে তিনি এমী পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন।
- বিজ্ঞাপন -