ঠিকানা রিপোর্ট : ক্যালেন্ডারের হিসেবে বৈশাখ চলে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে নতুন বছরের রেশ যেনো এখনো কাটেনি। রমজান শুরুর আগে প্রায় প্রতিটি উইক এন্ড এবং উইক ডেইজেও কোথাও না কোথাও বাংলা নববর্ষ উৎযাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে। রমজান চলে না আসলে, এ আয়োজন আরো দীর্ঘতর হতো বলে অনেকেই মনে করছেন। এখন কম্যুনিটিতে চলছে ইফতার উৎসব।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে ৬ ঋতু হলেও আমেরিকায় মাত্র ৪টি ঋতু। এপ্রিলে শীতের শেষে বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাস বইতে শুরু করলেই ফেলে আসা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে উদযাপিত হয় ‘বাংলা নববর্ষ।’ পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) সারা দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে মহাধুমধামে পালিত হয় বর্ষ বরণ উৎসব। দূর প্রবাসে এসব দেখে-শুনে হা-হুতাশ ছাড়া কিছুই করার থাকে না তাদের।আর তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই, তারাও উইক এন্ডের ছুটিতে এবং সুযোগ পেলেই উইক ডেইজেও পালন করেন বৈশাখী উৎসব। বিশাল আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিরা মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা-ইলিশ, পিঠাপুলি, মেলা ইত্যাদি আয়োজন করে বছরের একটি দিনকে অন্তত মাতিয়ে রাখতে চান।
পুরো উত্তর আমেরিকায় নিউইয়র্কেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশির বসবাস। আর তাই বৈশাখ নিয়ে তাদের উৎসাহ-আয়োজন থাকে সব সময়ই চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন, সমিতির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানমালার। এসব অনুষ্ঠানে পুরুষদের চাইতে নারীদের উপস্থিতিই বেশি লক্ষ্য করা যায়। পরদেশে স্বদেশি সংস্কৃতি-সুখ পেতে নারীরা যেনো বহু আগে থেকেই গোপণে প্রস্তুতি নিতে থাকেন! অনুষ্ঠানের দিন তারা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নানা পোশাকে সাজিয়ে হাতে পিঠা-পুলি-মিষ্টান্ন নিয়ে হাজির হন মেলায়। সেখানে দিনমান চলে আড্ডা, খোশগল্প, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চাসহ নানা আয়োজন। এক সময় ভাঙতে হয় মিলন মেলা। ফের শুরু হয় আরেকটি নতুন বছরের জন্য অপেক্ষার মালাগাথা!
এদিকে বাঙালিরা যে একটি উৎসব পাগল জাতি, তারও প্রমাণ মেলে নানা উপলক্ষে উৎসব আয়োজনে। এখন যেমন চলছে ইফতারের উৎসব। চলবে সারা রমজান মাস জুড়ে। এরপর শুরু হবে ঈদ পুনর্মিলনী। এমন করে উৎসব চলবে বছরজুড়ে।