চলছে হল বুকিং: ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনায় অনুষ্ঠান আয়োজনের ধুম

ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রে এখন পুরো করোনামুক্ত পরিবেশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর থেকে এখন অনুষ্ঠানের সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে। বিভিন্ন হলের বুকিং চলছে। আগাম বুকিং হওয়ার কারণে অনেকেই পছন্দের হল পাচ্ছেন না। ফলে চেষ্টা করছেন অন্যান্য হল ভাড়া করার। বিয়ের অনুষ্ঠান যেমন হচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন সংগঠনের গেট টুগেদার, গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি, গায়েহলুদ, সুইট সিক্সটিন, বেবি শাওয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের ধুম পড়েছে। তবে যত ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে, এর মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানই বেশি। করোনার পর বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই পরিকল্পনা করছেন এখনো যেসব উপযুক্ত পাত্র-পাত্রীর বিয়ে হয়নি, তাদের বিয়ে দেওয়ার। কেউ কেউ নিজেরা পাত্র-পাত্রী খুঁজছেন। আবার অভিভাবকেরাও তাদের সন্তানদের জন্য পাত্র-পাত্রী খুঁজছেন। পছন্দসই পাত্র-পাত্রী পেলে বিয়ের আয়োজন করছেন। ফলে এখন আগের চেয়ে বেশি বিয়ে হচ্ছে। এ কারণে ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনায় বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ধুম পড়েছে। বুকিংও হচ্ছে বেশি।
ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনার ম্যানেজার হাসান মোহাম্মদ বলেন, আমাদের এখানে এখন অনেক অনুষ্ঠান হচ্ছে। আগামী কয়েক মাস শনিবার দিন কোনো হল খালি নেই। শনিবারের সব হল বুকিং হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে এখানে আগের চেয়ে অনেক বেশি বুকিং হচ্ছে। শনিবারের পাশাপাশি শুক্র ও রোববারও অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক অতিথি উপস্থিত থাকছেন। অন্যান্য দিনেও অনুষ্ঠান হচ্ছে। রবি ও শুক্রবারের হল বুকিং এখনো মিলছে।
ম্যানেজার হাসান আরো বলেন, করোনার পর আমরা সব দিক থেকেই আমাদের হল আরো উন্নত করেছি। অনেক কিছুুই রেনোভেশন করা হয়েছে। স্টাফ বাড়ানো হয়েছে। পরিবেশ আরো মনোমুগ্ধকর করা হয়েছে। হলের ভাড়া ও খাবারের মূল্যও কিছুটা বেড়েছে। এখন রোববারের জন্য জনপ্রতি পেমেন্ট নেওয়া হচ্ছে ৭০ ডলার আর শনিবারের জন্য জনপ্রতি ৭৭ ডলার। কারণ সব জিনিসের দামই বেড়েছে। এ কারণে আমাদেরও কিছুটা মূল্য বাড়ানোর বিকল্প ছিল না। তবু এখনো আমরা অনেকটা সহনীয় দামেই রেখেছি।
তিনি বলেন, এখন থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত শনিবার আমাদের হল খালি নেই। শুক্র ও রোববার অল্প কিছু হল খালি আছে। অনেকেই যোগাযোগ করছেন। আমরা বুকিং নিচ্ছি। পার্টি করার জন্য যে যত আগে বুকিং দেবেন, তত বেশি ভালো।
হাসান মোহাম্মদ বলেন, করোনা চলাকালে কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। লকডাউনের সময় হল বন্ধ রাখতে হয়েছে। তখন তো কোনো উপায় ছিল না। এরপর যখন সীমিত পরিসরে সিটি অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিল, ফের সব চালু হলো, তখন আবার আমাদেরকে গেস্ট অ্যালাউ করার ব্যাপারে অনেক কড়াকড়ি করতে হয়েছে। টেম্পারেচার দেখার পাশাপাশি সবকিছু দেখতে হতো। এরপর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি যখন নরমাল হলো, তখন অনুষ্ঠান আবার নতুন করে চালু হলো। গত বছর থেকে বেশ ভালো হচ্ছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, আমরা অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। হলের আপগ্রেড আর সার্ভিস আরো উন্নত করার কারণে কাস্টমাররা আমাদের ওপর ভীষণ সন্তুষ্ট।