
ঠিকানা অনলাইন : ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর কথা জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ রবিবার এ কথা জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের শক্তিশালী অস্ত্র তাঁর দেশকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শত্রুদের থেকে রক্ষা করবে। খবর এএফপির।
রাশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিক মেদভেদেভ। পুতিনপন্থী হিসেবে পরিচিত মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন। এখন রাশিয়ার নিরাপত্তা পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেদভেদেভ। এই পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট পুতিন।
রবিবার বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে মেদভেদেভ বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছি। ধ্বংসের বিবেচনায় এসব অস্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী।’
বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার শত্রু ছড়িয়ে রয়েছে মন্তব্য করে মেদভেদেভ আরও বলেন, ‘শুধু ইউক্রেন আমাদের শত্রু নয়। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মস্কোর বিরুদ্ধে নাৎসিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’
ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে রাশিয়া কোন কোন শক্তিশালী অস্ত্রের উৎপাদন কী পরিমাণে বাড়িয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মেদভেদেভ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে সামাজিকমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন মেদভেদেভ। বিভিন্ন সময় পোস্ট দিয়ে তিনি বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। যুদ্ধে রাশিয়ার নীতি, কৌশল ও অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও নতুন ধরনের অস্ত্র উৎপাদনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এর মধ্যে হাইপারসনিক অস্ত্রও রয়েছে। এই অস্ত্র প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।
ঠিকানা/এসআর