ঠিকানা রিপোর্ট: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফেন্টানীলসহ আফিমযুক্ত ওভারডোজে নিউইয়র্কসহ সমগ্র আমেরিকায় মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ডেমক্র্যাটিক দলীয় ইউএস সিনেটর চার্লস চাক শ্যুমার ১৪ মে বলেন, আফিমযুক্ত মাদকের ওভারডোজে ২০১৫ সালে নিউইয়র্কে প্রাণ হারিয়েছিল ২,১৬৬ জন। আর ২০১৬ সালে এক লাফে তা বেড়ে ৩ হাজার ৯ এ উন্নীত হয়েছে। এমনতর বাস্তবতার আঙ্গিকে লিউ হের নেতৃত্বাধীন চীনা নেগোশিয়েটরদের সাথে আমেরিকার ট্রেড নেগোশিয়েটরদের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে বিপণনকৃত চীনের ফেন্টানীল প্রাধান্য পাওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন সিনেটর চাক শ্যুমার।
সিনেটর শ্যুমার বলেন, সমগ্র বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফেন্টানীলের ৯০% উৎপাদিত হয় চীনে। তিনি আরও বলেন, এই প্রাণঘাতি বিষ তৈরি এবং চোরাই পথে আমেরিকাসহ সমগ্র বিশ্ববাজারে ব্যাপারে চীন সরকার আদৌ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। শ্যুমার বলেন, চীন সরকারের নমনীয় নীতিমালা ও উদাসীনতার কারণেই চীনে দেদারসে ফেন্টানীল উৎপাদিত হচ্ছে এবং চীনা ফেন্টানীল বিশ্ববাজার দখল করছে।
সিনেটর শ্যুমার বলেন, ফেন্টানীল নামক আফিমযুক্ত সিনথেটিক হেরোইনের চেয়েও শত গুণ বেশি বিষাক্ত ও প্রাণঘাতি। জানা যায়, দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রাণপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষে হোয়াইট হাউজের ট্রেড নেগোশিয়েটরগণ চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিংপিনের ঘনিষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা আস্থাভাজন উপদেষ্টা লিউ হের সাথে সহসা সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। শ্যুমার বলেন, আমেরিকানদের স্বাস্থ্যের বিষয় অবশ্যই আলোচসূচিতে স্থান পেতে হবে। তিনি বলেন, আমি নেগোশিয়েটর নিকট জোর গলায় দাবি করছি আমেরিকায় ফেন্টানীল রপ্তানির বেলায় চীনের উপর প্রকৃত চাপ সৃষ্টি করার জন্য। ফেন্টানীল রপ্তানি সমস্যার সমাধান ছাড়া নেগোশিয়েটরদের আলোচনার টেবিল ত্যাগ করা মোটেও উচিত হবেনা। কারণ এ বিষয়টিকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ ফেন্টানীলের বিষক্রিয়ায় ইতোমধ্যে হাজার হাজার তরতাজা প্রাণ ঝরে গেছে এবং অসংখ্য প্রাণ ঝুঁকির মুখোমুখি রয়েছে। শ্যুমার বলেন, আফিমজাত পণ্য আমেরিকার অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। কারণ আফিমের নেশাগ্রস্ত এবং ওভারডোজে আক্রান্তদের চিকিৎসায় আমেরিকাকে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে।