চীনে বসবাসরত মার্কিন কর্মকর্তাদের জন্য স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে ওয়াশিংটন। রহস্যজনক এক অসুখে আক্রান্ত হওয়ায় ‘সনিক অস্ত্র’ ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে ভাবা হচ্ছে।
দুই বছর আগে কিউবায় নিযুক্ত মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছিলো। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের গুয়াংজুতে মার্কিন কনসুলেট এর কর্মকর্তারা অদ্ভূত শব্দ শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন ওই দফতর ত্যাগ করেছেন। অন্তত একজন ট্রমার শিকার।
সম্প্রতি ধরা পড়া এই রোগগুলো এর আগে ২০১৬ সালে কিউবায় নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকদের মধ্যে দেখা যায়। সেসময় বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিলো। ভাবা হচ্ছে এবারও তেমন হামলা হয়ে থাকতে পারে। চীন জানিয়েছে তারা ঘটনাটা তদন্ত করে দেখছে।
তবে এখনই অভিযোগ করার পক্ষে নন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াশিংটনে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বনি গ্লেসান বলেন, ‘এখনও আমরা কারণ জানি না। তাই অভিযোগ করাটা ঠিক নয়। আমারও মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র একে হামলা বলছে।’
কিউবার ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর হাভানার ওপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে যে তারা তাদের কূটনীতিকদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউবাকেই দায়ী করেছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কিউবা।