রাজনৈতিক ডেস্ক : চীন সরকার অনুদান দিলেই কেবল ওয়াকিটকি আনা হবে। না দিলে সরকারি অর্থায়নে এ ধরনের কোনো প্রকল্প নেয়ার ইচ্ছা নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। গত ১৪ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন। সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে ৮৪ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ওয়াকিটকির জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে ২ হাজার ৫২ কোটি টাকা সংস্থান রাখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি। তবে ২ হাজার ৫২ কোটি টাকার মধ্যে ওয়াকিটকির জন্য ৫৩ কোটি আর বাকি টাকা ইভিএম ক্রয়ের জন্য।
এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেছেন, চীন সরকার বিভিন্ন দেশকে ওয়াকিটকি অনুদান হিসেবে দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরাও নির্বাচন পরিচালনার জন্য ওয়াকিটকির জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে চীন সরকারের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি যদি চীন সরকার অনুমোদন দেয় তাহলে আমরা এটি প্রকল্প হিসেবে নিবো। আমরা আশা করছি চীন বিষয়টিতে অনুমোদন দেবে। সেজন্যই অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫৩ কোটি টাকা ট্যাক্সের জন্য চাওয়া হয়েছে। অনুদানের নিশ্চয়তা পেলেই ‘ইউজ অব ডিজিটাল মোবাইল রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম (ওয়াকিটকি) শীর্ষক প্রকল্পটি নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি প্রকল্পটি নেয়া হয় সে ক্ষেত্রে এর আওতায় ১ হাজার ৯২০টি হ্যান্ডসেট এবং ১৯২টি স্টেশন আনা হবে। হ্যান্ডসেটগুলো রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা ব্যবহার করবে। আর ১৯২টি স্টেশন জেলা নির্বাচন অফিসে স্থাপন করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন মোবাইল নেটওয়ার্কে অনেক সমস্যা থাকে। তা ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে মোবাইলের নেটগুলো কাজ করে কম। যার ফলে কেন্দ্রের তথ্যগুলো উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো সম্ভব হয় না। এ পদ্ধতি চালু হলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে এবং কোনো বিশৃঙ্খলা হলে ছবিও তুলতে পারবে। মূলত নির্বাচন পরিচালনায় ওয়াকিটকি সহায়ক হবে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, চীন সম্মত হলে ওয়াকিটকির জন্য ১০০ কোটি টাকা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে মোট ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হবে এটি।