
ঠিকানা অনলাইন : তিন দিনের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোরে চীনের রাজধানী বেইজিং-এ পৌঁছান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিল একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। প্রায় ২০ বছর পর ইরানের কোনো প্রেসিডেন্টের চীনের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বেইজিং সফর গেলেন। ইরানভিত্তিক রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিমানবন্দরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী। এরপর তাকে চীনের কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানাবেন।
ইরনা আরও জানিয়েছে, ইরানের অর্থনীতি, পেট্রোলিয়াম, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, পরিবহন ও নগর উন্নয়ন এবং কৃষিমন্ত্রীসহ রাইসির মন্ত্রিসভার ছয় সদস্যও প্রতিনিধিদলের অংশ হয়ে চীন সফরে গেছেন। সোমবার একটি শীর্ষস্থানীয় চীনা সংবাদমাধ্যম রাইসির সফরের একটি সূচি প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, রাইসি শির সাথে একটি বৈঠক দ্বিপাক্ষিক করবেন, তারপরে প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা হবে এবং বেশ কয়েকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে চীন সফরের আগে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাইসি। এ সময় তিনি চীন সফরে তার নানা কর্মসূচি সম্পর্কে সর্বোচ্চ নেতাকে অবহিত করেন। আয়াতুল্লাহ খামেনী প্রেসিডেন্টের কর্মসূচির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সফরের সাফল্য কামনা করেন। প্রেসিডেন্ট রায়িসি বেইজিং-এর উদ্দেশ্যে তেহরান ত্যাগ করার আগে বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক দেশের একক আধিপত্য রুখে দেয়োর ক্ষেত্রে তেহরান ও বেইজিং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
তিনি আরও বলেন, ইরান ও চীন উভয় দেশ সাংহাই সহযোগিতা পরিষদের সদস্য হওয়ায় আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে এই দুই দেশের সহযোগিতা শক্তিশালী হওয়ার উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা
ঠিকানা/এম