
নন্দিনী মুস্তাফী :
এই নির্জন দ্বীপের চৌহদ্দি জুড়ে,
সর্বোপরি বিষণ্ন সময়ে একাকী নির্জন প্রিয়,
আটপৌঢ়ের খোলশে লুকিয়ে রেখে
নির্জনতার বিকেল পেড়িয়ে
জ্যোৎস্নার প্লাবনে ভেসে যাওয়া রাত
কি ভাবো অমন করে নীমিলিত চোখে?
দক্ষিণের বাতায়ন ডেকে যায় আকুল হয়ে,
প্রাণের স্পন্দন উড়িয়ে দিয়ে ঝড়ো হাওয়ায়
রুদ্ধদ্বারে যেন দস্তক দিয়ে কেঁদে যায়
এক বুক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে নিষ্ফল আক্ষেপে,
যেন তর্জনী থমকে দাঁড়িয়ে যেতে বলেÑ
নৈশব্দ খুলে বাতায়নের উচ্ছ্বাস।
দেখো অপলক!
মুক্তাকাশের উড়ে যাওয়া বলাকার সারী
বয়ে যাওয়া স্রোতের মাতাল কলতানে
কী যে প্রশান্তি মিশে আছে অগোছালোভাবে!
অযুত চুমকি খচিত সীমাহীন দোপাট্টা
আর নেশাতুর বালু চরাচর
দুধের বৃষ্টিতে ধোঁয়া কাশের শরীর
সুমিষ্ট ধানের মো মো ঘ্রাণে
দূর বহু দূরে পাকালের তান
যেন! যেন বলছে তোমায় :-
বেরিয়ে এসো! বিষণ্নতার নিয়ম ভেঙে!
তাকাও ঊর্ধ্বপানে, মিল্কিপথের অনন্য পথে
গভীর থেকে গভীরতর মহাকালে
হারায় সবে, এটাই নিয়ম, এটাই জীবন :
আমিও আছি এখন যেমন
যাবোই যেন পায়ের বাঁধন টুটবে যখন।
উড়বো তখন আকাশ ফুরে
দৃষ্টি সীমার বলয় ছেড়ে
সকল বাঁধন ছিন্ন করে।