বিশ্বচরাচর ডেস্ক : জম্মু ও কাশ্মিরের কাঠুয়ায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি সানজি রাম ছেলেকে বাঁচাতে শিশুটিকে খুনের পরিকল্পনা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সানজি রাম বলেন, শিশুটিকে অপহরণের চার দিন পর তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তার ছেলেও শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে এটা জানার পর সবকিছু ধামাচাপা দিতে তিনি খুনের পরিকল্পনা করেন। তার দাবি, ১৩ জানুয়ারি তার ভাতিজা প্রথম তাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। ‘তখনই আমি হত্যার পরিকল্পনা করি। তাতে যাযাবর সম্প্রদায়কে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যও সফল হবে।’
গত ১০ জানুয়ারি কাঠুয়ায় মুসলিম যাযাবর সম্প্রদায়ের ওই শিশুটিকে অপহরণ করে একটি মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। সানজি রামের জবানবন্দী অনুযায়ী, শিশুটিকে ১৪ জানুয়ারি হত্যা করা হয়। পুলিশ ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সানজি রাম ও তার ছেলে, তার ভাতিজা (নিজের বয়স ১৮’র কম দাবি করেছে) এবং পুলিশসহ আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্য অনেক ধর্ষণের ঘটনার মতো এ ঘটনাটিও আড়ালেই ছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাদের মুক্তির দাবিতে কাঠুয়ার কয়েকটি হিন্দু অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন বিক্ষোভ শুরু করলে এবং বিজেপি নেতা স্থানীয় সরকারের দুই মন্ত্রী সেই বিক্ষোভ সমর্থন করলে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।