ঠিকানা রিপোর্ট : স্বল্পোন্নত পর্যায় থেকে উত্তরিত এবং উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। গত ৬ নভেম্বর নিউইয়র্কে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) প্রকাশিত ‘মাল্টিলেটারাল ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স ২০২০ (এমএফডি)’ শীর্ষক প্রকাশনার উপর আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মাঝেও বিশ্ব অর্থনীতিতে যে সকল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তার পূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান দূর্বলতা অপসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন এবং স্বল্প ব্যয় ও স্বল্প ঝুঁকির তহবিলের উৎসসমূহে প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
বৈশ্বিক উন্নয়ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য উদার ও ন্যায়সঙ্গত পরিচালন পদ্ধতি নিশ্চিত করার উপরও জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ যাতে উন্নয়ন ও মানবিক অর্থায়নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এসডিজি বাস্তবায়নে জাতীয় সরকারগুলোর প্রচেষ্টা ও সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখ করে উদ্ভাবনী অর্থায়ন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং উদীয়মান প্রযুক্তিসমূহে প্রবেশ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওইসব দেশের সম্পদের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে ওইসিডি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। স্বল্পোন্নতসহ ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য দেশের জলবায়ুজনিত সঙ্কট দূরীকরণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের উপর জোর দেন তিনি। ওইসিডি প্রকাশিত এই রিপোর্টে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অর্থায়ন ব্যবস্থার বিবর্তন, তহবিলের উৎস এবং বিশ্বব্যাপী অর্থায়নের ধরণের মতো বিষয়সমূহের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জসমূহ এবং এর থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে।
ইভেন্টটিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি। সদস্যদেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, ওইসিডি’র পরিচালক, জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিশেষজ্ঞরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।