জাতীয় সাঁতারে জুনাইনার চমক

স্পোর্টস রিপোর্ট : দুই বছর পর জাতীয় সাঁতার। প্রথম দিনেই হয়েছে পাঁচটি জাতীয় রেকর্ড। দুটি রেকর্ড একাই নতুন করে লিখেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ। গত ১০ মার্চ মিরপুরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স মাতালেন তিনি। একই জিতলেন দুটি স্বর্ণ। ব্রিটিশ বংশোদ্ভ‚ত এ সাঁতারু হারিয়েছেন সোনিয়া আক্তার টুম্পার মতো তারকাকে। ম্যাক্স গ্রæপের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে সাঁতারে আটটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। পদকের লড়াইয়ে আধিপত্য নৌবাহিনীর। ছয়টি স্বর্ণ, পাঁচটি রৌপ্য এবং তিনটি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪টি পদক নিয়ে শীর্ষে তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেনাবাহিনী দুটি স্বর্ণ, সমান রৌপ্য ও পাঁচটি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯টি পদক জিতেছে।

পুরুষ ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে সেরা হয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মো. আসিফ রেজা। তিনি ২ মিনিট ০.৭২ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। একই ইভেন্টে নারী বিভাগে চমক দেখান জুনাইনা। একই সংস্থার টুম্পাকে শুধু হারাননি, গড়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ডও। পুলে ২ মিনিট ১৯.৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন জুনাইনা। আগের রেকর্ডটি ছিল সবুরা খাতুনের। ২০০৭ সালে তিনি ২ মিনিট ২৫ দশমিক ৫৬ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় হওয়া সোনিয়া আক্তার সময় নিয়েছেন ২ মিনিট ২৩ দশমিক ৪০ সেকেন্ড। ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকেও রেকর্ড গড়েন জুনাইনা। ২ মিনিট ৪০.৭৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হওয়া জুনাইনা রেকর্ড ভাঙেন নাঈমা আক্তারের। ২০১৬ সালে নাঈমা ২ মিনিট ৪৪ দশমিক ৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। পুরুষদের ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে সেরা হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুয়েল আহমেদ ২ মিনিট ১৬ দশমিক ১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল রুবেল রানার।

২০০৩ সালে ২ মিনিট ১৬.৭৬ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে পুরুষ বিভাগে ১৬ বছর আগের রেকর্ড ভাঙেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মো. মাহমুদুন নবী নাহিদ। ৫৬.৮২ সেকেন্ড সময় নেন নাহিদ। ২০০৩ সালে জুয়েল আহমেদ ৫৭.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। এক ইভেন্টে হারলেও নিজের প্রিয় ইভেন্ট ১০০ মিটার বাটারফ্লাই স্ট্রোকে স্বর্ণ জেতেন সোনিয়া। ১ মিনিট ৮.৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন তিনি। ভাঙেন ২০১৪ সালে নিজের গড়া রেকর্ড। পুরুষ ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে প্রথম হয়েছেন নৌবাহিনীর আরিফুল ইসলাম। নারী বিভাগে একই ইভেন্টে স্বর্ণ জেতেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রুমানা আক্তার।