জালালাবাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল

নিউইয়র্ক : জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিলে মোনাজাত আদায়। এবং ইফতার মাহফিলে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। 

ঠিকানা রিপোর্ট : সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৬ মার্চ রোববার কুইন্সের উডহেভেন ব্লু বার্ডের জয়া হল পরিণত হয় একখণ্ড সিলেট বিভাগে। কানায় কানায় পূর্ণ হলে অংশগ্রহণ করেন সিলেট বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ অন্যান্য এলাকার চার শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টায়, চলে তারাবির নামাজের আগ পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সাধারণ সম্পাদক কারী খালেদ মিয়া ও জামাল হোসেন। ইফতারের পূর্বে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রাশিদ আহমেদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের সদস্য শামীম আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের মহান আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আহ্বায়ক শফিউদ্দিন তালুকদার তার বক্তব্যে উপস্থিত জালালাবাদবাসী ও অতিথিদের অভিনন্দন জানান। তিনি ইফতার ও দোয়া মাহফিলকে সফল এবং সার্থক করতে কার্যকরী পরিষদ এবং বিশেষ করে অ্যাপোলো ইন্স্যুরেন্স ব্রোকারেজের প্রেসিডেন্ট শমসের আলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বোর্ড অব ট্রাস্টির পক্ষে অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী উপস্থিত জালালাবাদবাসীকে অভিনন্দন জানান এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের মহান আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমের পরিচালনায় মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্য ও সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ছদরুন নূর, কাউসারুজ্জামান কয়েছ, অনুষ্ঠানের স্পন্সর বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শমসের আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনেদ এ খান, আব্দুল হাসিব মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমদ চৌধুরী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান।
কার্যকরী পরিষদের নেতাদের মধ্যে ছিলেন সহসভাপতি মো. লুকমান হোসেন লুকু (সিলেট), সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহীন কামালী (সুনামগঞ্জ), সহসভাপতি মো. শফিউদ্দিন তালুকদার শফি (হবিগঞ্জ), সহসভাপতি বশির খান (মৌলভীবাজার), কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলিম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হোসেন আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাহিদ আহমেদ খান, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সুতিপা চৌধুরী। সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেলিম উদ্দিন (সিলেট), শামীম আহমেদ (সুনামগঞ্জ), দেলোয়ার হোসেন মানিক (হবিগঞ্জ) ও মিজানুর রহমান (মৌলভীবাজার)। ইফতারি স্পন্সর করেন অ্যাপেলো ইন্স্যুরেন্স ব্রোকারেজ এক্সিট লাক্সারি ইনকর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও শমসের আলী। অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন ফয়সাল আলম।
ইফতার-পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা স্বাধীনতাযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, একটি স্বাধীন দেশের পাসপোর্ট আমাদের হাতে থাকায় আজ আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছি। এই সুযোগ যারা করে দিয়েছেন, তাদের ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন তার বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭১ সালের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম জানান, অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ মজিদ, আতাউর রহমান সেলিম, আহমেদ জিল্লু, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি ও সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টি আজিমুর রহমান বুরহান, সহসভাপতি ফারুক চৌধুরী, গণসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, সদস্য মো. সাদী মিন্টু, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি জুসেফ চৌধুরী, সাব্বির হোসেন, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আজদু মিয়া তালুকদার, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সাবেক সভাপতি সোহান আহমেদ টুটুল, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মাহবুব, সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, সদস্য মো. জামাল হোসেন, রেজাউল আলম অপু, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন, নিউইয়র্ক গোলাপগঞ্জ সোসাইটির সদস্য শেখ আতিকুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি নাজমুন হাসান কুবাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন স্বপন, কুলাউড়া বাংলাদেশি অ্যঅসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, মোশাদীন জে রাশেদ, ওসমানীনগর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজিজ আহমদ ছালিক, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল চৌধুরী মিসলু, সহসভাপতি মালিক শেখ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ ও সাবেক সভাপতি বশির উদ্দিন আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল, সদস্য শফিকুর রহমান, মো. আবু ফজর ও প্রচার সম্পাদক কাজিরুল ইসলাম, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ড সোসাইটির সাবেক সভাপতি শেখ হায়দার আলী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিপন মিয়া, হেলথ ফার্স্টের কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, মাহবুবুল তরফদার, শরিফুল চৌধুরী, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবুল আহমেদ, সোনার বাংলা পিপল সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী সারোয়ার হোসেন, পেনসিলভানিয়া থেকে আগত বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আব্দুল আলিম ও বাংলাদেশি ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফাহিম শাকিল অপু, মারওয়ান আহমেদ, মূলধারার রাজনীতিবিদ সাবুল উদ্দিন প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তবে ব্যক্তির চেয়ে সংগঠন বড়, যার প্রমাণ আজকের এই অনুষ্ঠান। তিনি বলেন জালালাবাদবাসীর ঐক্যের স্বার্থে আমি এবং আমার পরিষদ যেকোনো ধরনের সমাধানের জন্য প্রস্তুত। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।