ঠিকানা রিপোর্ট : যারা হোমকেয়ার করেন, তাদের ট্যাক্স ফাইল করতে গিয়ে ইদানীং কিছু কিছু সমস্যা হচ্ছে। আইআরএসের নিয়ম হচ্ছে, যাদের হোমকেয়ারের আয় রয়েছে, এর মধ্যে যারা যোগ্য, তারা ট্যাক্স ফ্রি নিতে পারবেন। আর উপযুক্ত না হলে কোনোভাবেই তা নিতে পারবেন না। কেউ নিলে এখন সমস্যা না হলেও পরে সমস্যা হতে পারে। নিয়ম হলো হোমকেয়ারের সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহণকারী দুজনকে একই ঠিকানায় থাকতে হবে। যারা এ ধরনের সেবা দিচ্ছেন ও নিচ্ছেন, কেবল তারাই ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা পেতে পারেন। যারা হোমকেয়ার করেন ও হোমকেয়ারের সেবা নেন কিন্তু আলাদা বাড়িতে থাকেন, কেবল সেবা দেওয়ার জন্য রোগীর বাসায় যান, তিনি পেশাগতভাবে এই কাজটি করেন, তারা কোনোভাবেই ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা পাবেন না। এ বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ঠিকানাকে
বলছিলেন মোহাম্মদ মজুমদার, যিনি আইআরএসের ভিটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে ট্যাক্স ফাইল করার একজন সেবাদাতা, সেই সঙ্গে তিনি একজন এনরোল এজেন্টও। রয়েছে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানও।
তিনি ঠিকানাকে বলেন, চলতি মৌসুমে হোমকেয়ার সেবাদাতাদের ট্যাক্স ফাইল করতে গিয়ে আমরা ভীষণ বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছি। আমরা যারা ফাইল করি, তারা গ্রাহকদের বলি, যথাযথ নিয়ম মেনে যেসব ট্যাক্স সুবিধা পাওয়া যায়, সেটি নিতে। কারণ একেক জনের পরিস্থিতি একেক রকম। আয়ও একেক রকম। ডিপেন্ডেন্টের সংখ্যাও একেক রকম। খরচও একেক রকম।
তিনি বলেন, যারা হোমকেয়ার করেন, তারা এসে বিভিন্ন আলোচকের রেফারেন্স দেন। বলেন, আমরা শুনেছি হোমকেয়ার করলে এই আয় ডব্লিউ-২-তে হলে ট্যাক্স দিতে হয় না। তখন তাদেরকে বলি, আপনি যার হোমকেয়ার করেছেন তিনি এবং আপনি একই ঠিকানায় থাকেন না, আপনারা আলাদা ঠিকানায় থাকেন, এ জন্য আপনাকে ইনকাম ট্যাক্স দিতেই হবে। হোমকেয়ারের বেলায় নিয়ম হচ্ছে, একজন হোমকেয়ার সেবা প্রদানকারী যেখানেই থাকেন না কেন, তিনি যদি তার ঠিকানায় বসবাস না করেন, তাহলে তাকে ট্যাক্স দিতে হবে। বিষয়টি আমরা অনেক মানুষকেই বোঝাতে পারি না। উল্টো তাদের অনেকেই বলেন, আপনি জানেন না যে হোমকেয়ারের আয়ের কোনো ট্যাক্স নেই।
মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, আমি আইআরএসের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তারাও বলেছে, যারা আলাদা বাসায় থেকে সেবা দিয়ে অর্থ আয় করছেন কিন্তু ট্যাক্স দিচ্ছেন না, তারা এ নিয়ে ঝামেলায় পড়তে পারেন। তিনি বলেন, এমনও মানুষ রয়েছেন, যারা ট্যাক্স ফাইল করার জন্য আমাদের কাছে নথিপত্র দিয়ে যান। আমরা ফাইল প্রস্তুত করার পর তারা জানতে চান, কত ডলার রিফান্ড পাবেন। রিফান্ড তার মনের মতো না হলে তখন আর ফাইল করান না। ফাইল টেকব্যাক করান। কিন্তু টেকব্যাক করার যে নিয়ম আছে, সেটিও তারা অনুসরণ করতে চান না। এ ধরনের মানুষকে আমরা বলি, আপনি ফাইলে কোনো ভুল বের করতে পারলে তা সংশোধন করা হবে। সংশোধন করার পর সেখানে যে রিফান্ড আসবে, তা পরিশোধ করতে হবে। আর রিফান্ড পেলে তা নেবেন।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ ফাইল করবেন বলে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে তথ্য ইনপুট করান। একাধিক অফিসে দেখানোর পর যেখানে বেশি রিফান্ড পান, সেখানেই ফাইল করান। একই ফাইলের জন্য বিভিন্ন অফিসে রিফান্ড ভিন্ন হতে পারে। তবে যেখানেই ফাইল করান না কেন, ফাইলটি যেন আইআরএসের সঠিক নিয়মে হয়। তা না হলে আজ যে ফাইলের জন্য বেশি রিফান্ড পাচ্ছেন, ওই ফাইলের জন্য আগামী ছয় বছরের মধ্যে যেকোনো সময় অডিটে পড়তে পারেন। অডিটে পড়লে তখন ওই অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার জন্য পরে তা সুদে আসলে ফেরত দিতে হতে পারে। হতে পারে জরিমানাও। সেই সঙ্গে অডিটের ঝামেলা তো আছেই।
তিনি বলেন, কে কত রিফান্ড পাবেন, এটি নির্ভর করে তিনি ডব্লিউ-২-তে বেতন পাচ্ছেন নাকি ১০৯৯ এর বেতন পাচ্ছেন। ডব্লিউ-২ হলেও কি তার ফেডারেল ট্যাক্স কাটা হচ্ছে, নাকি হচ্ছে না। কাটা হলে কত কাটা হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পর বছর শেষে তাকে একটি ডব্লিউ-২ দেওয়া হলো, সেখানে ফেডারেল ট্যাক্স কাটার ঘরে কোনো কিছুু থাকে না। তার মানে কোনো ট্যাক্স কাটা হয়নি। বিভিন্ন কোম্পানি এই চালাকি করে। স্টাফ যখন ফাইল করতে আসেন, তখন বলেন, আমি তো ডব্লিউ-২-তে কাজ করেছি। তাহলে আমি ট্যাক্স দিয়েছি। আমি কেন রিফান্ড পাব না। আসলে তার প্রতিষ্ঠান তাকে ডব্লিউ-২ দিয়েছে কিন্তু কোনো ট্যাক্স কাটেনি। ফলে তিনি যখন ফাইল করবেন, ওই ট্যাক্স তাকে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, কে কত ট্যাক্স দিচ্ছেন ও কত অর্থ রিফান্ড পাবেন, সেটা নির্ভর করে তিনি কত ডলার আয় করেন, তার ওপর। তারা একজন নাকি দুজন কাজ করেন। তাদের কতজন ডিপেন্ডেন্ট আছেন। এর মধ্যে কজনের বয়স ১৭ বছরের নিচে, কজনের বয়স ১৭ বছরের ওপরে। কারো তিনজনের বেশি সন্তান আছে কি না। এ ছাড়া ডব্লিউ-৪ ফিলআপ করার সময় তিনি তার ডিপেন্ডেন্ট কজন, এটা উল্লেখ করেছেন কি না। যদি কেউ ডব্লিউ-৪ ফর্মে তার কজন ডিপেন্ডেন্ট আছেন, এটা উল্লেখ করেন, তাহলে তার ট্যাক্স কম কাটা হবে। যদি কেউ কোনো ডিপেন্ডেন্ট না দেন, তাহলে তার ট্যাক্স বেশি কাটা হবে। যিনি ট্যাক্স বেশি কাটাবেন, তিনি ফাইল করার পর বেশি ট্যাক্স দিয়ে থাকলে তখন তা ফেরত পাবেন। আর যদি কেউ কম দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কম ফেরত পাবেন অথবা অবশিষ্ট ট্যাক্স বকেয়া থাকলে তা দিতে হবে।
মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, আমি এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমের মালিকের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেছি। তাদের অনুরোধ করেছি, সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে। অনেক সময় গণমাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে না। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমরা চাই গণমাধ্যম সঠিক তথ্য প্রচার করুক। এ ছাড়া গণমাধ্যম টকশোর আয়োজন করতে পারে। সেখানে সিপিএ বা এনরোল এজেন্টরা কথা বলতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা কথা বললে মানুষ উপকৃত হবে।