জেলা ফুটবলের পাশে বাফুফে

স্পোর্টস রিপোর্ট : তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনার পথ হলে জেলা ফুটবল লিগ। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে অনেক জেলার লিগ। আবার বেশ কয়েকটি জেলা নিজ উদ্যাগে জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছে ফুটবল। কিন্তু সাড়া পড়ছে না তেমন। তবে এবার জেলা ফুটবল লিগ সচল করতে তোড়জোড় চালাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আবারো জেলা ফুটবল লিগ চালুর লক্ষ্যে নিয়ে গত ৭ এপ্রিল বাফুফে ভবনে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন (ডিএফএ) কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করে বাফুফে।
প্রধান অতিথি থেকে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, কথা বলেন ডিএফএ’র কর্তাদের সঙ্গে। দেশের ফুটবলটা এখন ঢাকাকেন্দ্রিক অনেকটাই। প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু কমে গেছে। গত আসরের আগে তিনটি ভেন্যুও ছিল। কিন্তু সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে ভেন্যু ছিল কেবল ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। মূলত জেলায় ফুটবলকে নিয়মিত বিকেন্দ্রিকরণ না করাতেই আজ ঢাকার বাইরে ফুটবলের চিত্রটা হতশ্রী। তাই জেলার ফুটবলে উন্নতি না হলে যে, ঢাকার ফুটবলের উন্নতি হবে না- সে ভাবনা থেকেই আগে ক’বার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এবারও একই উদ্যোগ নেয়া হলো। বাফুফের এমন উদ্যোগে খুশি ডিএফএর কর্মকর্তারাও। যশোরের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘যশোরে ইতোমধ্যে আমরা প্রথম বিভাগ লিগ শেষ করেছি। এখন বাফুফের টাকায় দ্বিতীয় বিভাগ আয়োজন করব।’ ময়মনসিংহের দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরাও প্রথম বিভাগ শেষ করেছি। অপেক্ষা ছিল দ্বিতীয় বিভাগের। বাফুফে অর্থ দেয়ায় এখন সেটাও করব। তবে মাঠ সমস্যায় গত বছর ফুটবল লিগ মাঠে গড়াতে পারেনি সিলেট ডিএফএ। সভাপতি মাহাউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘মাঠ সমস্যায় আমরা লিগ আয়োজন করতে পারিনি। তবে ক্রিকেটের ব্যস্ততা শেষে এ বছরেই মাঠ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ লিগ করব।’ জামালপুরের সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান বলেন, ‘জেলা লিগ চ্যাম্পিয়ন দলগুলো কোথায় খেলবে? সারা দেশের লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য আন্তঃজেলা টুর্নামেন্ট করে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। বেশি বেশি খেলার সুযোগ দিতে না পারলে ক্লাবগুলো ভালো দল গড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে না। দেশের ফুটবলের উন্নতি হবে না।’ তবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আশ্বস্ত করে বলেন, ‘অর্থের জন্য লিগ আয়োজন বসে থাকবেন না। এখন থেকে সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা পাওয়া যাবে। তবে টাকার হিসাব সরকারের কাছে দিতে হবে। লিগের জন্য কিছু টাকা দিচ্ছি। আপনারাও স্থানীয় পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা নেন। দ্রুত লিগের রূপরেখা দেন আমাদের কাছে।’ আর লিগ আয়োজনে ফুটবল ও কোচ দিয়ে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তবে বাফুফে এই টাকা দিচ্ছে সরকারি অনুদান থেকে। জেলা ফুটবল সংস্কারের জন্য সরকার দিচ্ছে ১ কোটি ৪৭ লাখ। প্রাপ্ত অনুদান থেকে প্রতিটি জেলাকে দেয়া হবে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাফুফে ৭০ হাজার টাকা যোগ করে প্রতিটি জেলাকে ৩ লাখ টাকা দিতে চায়। যার প্রথম কিস্তির এক লাখ টাকার চেক ৬২ জেলাকে দিলো বাফুফে।