স্পোর্টস ডেস্ক : ফ্লাশিং মিডোসে হাজার হাজার সমর্থকের সামনে ইউএস ওপেনের ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেন নোভাক জোকোভিচ। তার চোখে-মুখে আনন্দের অনুরণন। তখন নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এই সার্বিয়ান। তাই ট্রফিতে চুমু এঁকে দিলেন। কেননা গত ফেব্রুয়ারিতে কনুইয়ে অস্ত্রোপচার করান। ইনজুরি থেকে ফিরে এ নিয়ে তিন-তিনটি মেজর ট্রফি জিতেছেন জোকোভিচ। উইম্বলডনের পর ইউএস ওপেনও রাঙালেন তিনি। গত পরশু রাতে ইউএস ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে আর্জেন্টিনার জুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোকে ৬-৩, ৭-৬ (৪) ও ৬-৩ গেমে হারিয়ে আরেকটি গ্র্যান্ডসø্যাম জিতে নেন জোকোভিচ। এতে টেনিস ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের কাতারেও নাম ওঠালেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসের সমান ১৪টি গ্র্যান্ডসø্যাম জয়ের রেকর্ড গড়লেন তিনিও। ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪টি গ্র্যান্ডস্লামের ট্রফি এখন জোকোভিচের শোকেসেও। রজার ফেদেরারের সর্বোচ্চ ২০টি এবং রাফায়েল নাদালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭টি গ্র্যান্ডস্লাম ট্রফি জয়ের রেকর্ড রয়েছে। ইনজুরি থেকে ফেরার পর চলতি বছরটি দারুণ কাটবে ভাবেননি জোকোভিচ। ম্যাচশেষে বললেন, ‘এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচারের পর আমি উইম্বলডন, ইউএস ওপেন ও সিনসিনাটি জিতব, তা বিশ্বাস করাটা কঠিন। জীবন আমাকে ভালো পথ দেখাল। পিটার সাম্প্রাসের খেলা দেখেই বড় হন জোকোভিচ। তার স্বপ্নের নায়ক সাম্প্রাস। টেনিসে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখতেন জোকোভিচ। তার সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। জোকোভিচ বলেন, ‘এই খেলায় কিংবদন্তিদের অন্যতম পিট সাম্প্রাস। আমার শৈশবের আদর্শ ছিলেন তিনি। গ্র্যান্ডসø্যামের হিসাবে এখন তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রাখতে পারছি, এটা আমার জন্য অনেক বড়প্রাপ্তি। জোকোভিচ আরও বলেন, সত্যি অসাধারণ ছিলেন সাম্প্রাস। আমি তাকে প্রথম উইম্বলডন জিততে দেখেছিলাম। আমি তার মতোই খেলার চেষ্টা করতাম। চিন্তা করতাম, আমি এক দিন এ রকম সাফল্য দেখাব। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
ইউএস ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে দ্বিতীয় নারী আম্পায়ার হিসেবে রেকর্ড গড়েন ব্রিটেনে আলিসন হিউজেস। এর আগের দিন ফ্লাশিং মিডোসে নারী এককের ফাইনালে আম্পায়ারের সঙ্গে বাগি¦ত-ায় জড়ান যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস। তাতে পুরুষ এককের ফাইনাল ঘিরেও শঙ্কা ছিল। তবে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেনি। শান্ত ও সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে জোকাভোচি-পোত্রোর মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি। এ নিয়ে পোত্রোর বিপক্ষে ১৮ বার মুখোমুখিতে ১৪টি ম্যাচে জিতলেন জোকোভিচ। তৃতীয় ইউএস ওপেনের ট্রফি ঘরে তুললেন তিনি। এর আগে একবারই ২০০৯ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন পোত্রো। ম্যাচশেষে তিনি জানান, নোভাক ট্রফিটির দাবিদার ছিল। বন্ধু নোভাক চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি খুশি।