ঠিকানা রিপোর্ট : জ্যামাইকার হিলসাইডে বাংলাদেশি ও এশিয়ান কম্যুনিটির জন্য নিত্যপণ্য ও মাছ-মাংসসহ সবকিছু সরবরাহ করার জন্য ১৫ বছর আগে গড়ে উঠেছিলো কাওরানবাজার। সেই কাওরানবাজার দীর্ঘদিন ধরেই সুনামের সঙ্গে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দিন যতো যাচ্ছে, জ্যামাইকাতে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশিও। তারা এ দেশে থাকলেও যাতে সব ধরণের দেশি খাবারের স্বাদ নিতে পারেন, সেজন্য কাওরান বাজার সব সময় চেষ্টা করে গেছে, সফলও হয়েছে।
মানুষ বাড়ার কারণে এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো আরো পণ্য বাড়ানোর। এ জন্য দোকানের পরিসর ও আয়তনও বাড়ানোর দরকার। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকেই কাওরান বাজারের জ্যামাইকার ব্রাঞ্চের পরিধি বাড়ানো হলো। গত ১১ মে, শুক্রবার, বাদ জুম্মা কাওরান বাজারের বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করেন নিউইয়র্কস্থ কনসাল জেনারেলের অফিসের প্রথম সচিব (ভিসা ও পাসপোর্ট বিভাগের প্রধান) মো. শামীম হোসেন। সঙ্গে ছিলেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মীর্জা আবু জাফর বেগ। এছাড়াও জ্যামাইকাবাসীদের মধ্যে গণ্যমান্য অতিথিবর্গ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্ব পরিচালনা করেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ওয়াজেদ এ খান।
জুম্মার নামাজের পর অতিথিরা কাওরান বাজারে আসেন। এর একটু পর নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল অফিসের প্রথম সচিব মো. শামীম হোসেন ফিতা কেটে বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করেন। এ সময় কাওরান বাজারের সমৃদ্ধি ও উত্তরোত্তর প্রসার কামানা করে মোনাজাত করান মীর্জা আবু জাফর বেগ।
কাওরান বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মো. শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছেন। নিউইয়র্কেও অনেক বাংলাদেশি ব্যবসা করছেন। তাদের সাফল্যই বলে দেয় তাদের ব্যবসা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা। কাওরান বাজারের প্রসারকে তিনি স্বাগত জানান এবং আগামী দিনে যাতে আরো বড় হয়, সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য তার কনাসার জেনারেল অফিস যেসব সময় কাজ করে আসছে তাও তুলে ধরেন।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মীর্জা আজম বেগ বলেন, কাওরান বাজার দীর্ঘদিন ধরে মানুষের চাহিদা পূরণ করে আসছে। তারা যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। আমরা আশা করি ও দোয়া করি তাদের তাদের সেবা অব্যাহত থাকে এবং তারা আগামী দিনেও আরও মানুষের সেবা দিতে পারে।
কাওরান বাজারের প্রেসিডেন্ট ইমরান খান বুলু বলেন, আমি বাংলাদেশ ও জ্যামাইকাবাসীর জন্য এক সময় এই কাওরান বাজার গড়ে তুলেছিলাম। আমি সব সময়ই চেষ্টা করে গেছি তাদের জন্য গুণগতমানসম্পন্নœ পণ্য সরবরাহ করার। ভবিষ্যতেও আমি তা অব্যাহত রাখতে চাই।
কাওরান বাজারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ইলিয়াস খান বলেন, আমরা সব সময় সবার জন্য ভালো ও টাটকা জিনিস দিতে চেষ্টা করেছি। আপনারা সব সময় আমাদের সহায়তা করে এসেছেন। আমাদের পাশে থেকেছেন, আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকবো।
কাওরান বাজারের নিয়মিত কিছু ক্রেতা রয়েছেন, তারা দীর্ঘ পনের বছর ধরে একই দোকান থেকে বাজার করে আসছেন। তাদের অনেকেই উদ্বোধনী দিনে বাজারে আসেন, কাওরান বাজার কি কি পণ্যের উপর ছাড় দিয়েছে তা দেখতে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু পণ্যও কিনে নেন। কাওরান বাজার পরিসর বাড়ানোর কারণে মাছ, মাংস, চাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় দিয়েছে। এনেছে নতুন নতুন মাছও। রমজানেও থাকছে বিশেষ ছাড়।
ইমরান খন্দকার বুলু ঠিকানাকে বলেন, জ্যামাইকাতে যখন বড় কোন সুপার শপ ও গ্রোসারি ছিলো না, সেটি আমি করি। এটা ১৫ বছর আগের কথা। একটি একটি করে এখন আমরা তিনটি ব্রাঞ্চ পরিচালনা করছি। দুটি হিলসাইডে আর একটি উডসাইডে। আমরা আগামী দিনে আমাদের ব্যবসা আরও বাড়াবো।
তিনি বলেন, এখন গ্রোসরি শপের মালিকদের কারো কারো মধ্যে অসম ও অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অনেক সময় কম দামে বিক্রি করার জন্য ক্রেতাদেরকে কম মেয়াদে ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সবরাহ করছে। আমি মনে করি, এটা ঠিক না। এটি একটি অসম প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতাটি বন্ধ করা দরকার। কারণ খাদ্যপণ্য মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর সেখানেই যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তিনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে সারাজীবনই সমস্যার মধ্যে থাকতে হবে। তাই আমি ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলবো- আপনারা ভাল ও গুণগতমানসম্পন্ন পণ্য কিনুন। কমমূল্যে মেয়াদোত্তীর্ণ কোন জিনিস কিনবেন না।
তিনি বলেন, এ এলাকায় যখন প্রথম গ্রোসরি করি তখন মান্নান সুপার মার্কেট ও প্রিমিয়াম সুপার মার্কেটও ছিলো না। আমি প্রথম আসার পর তারা এখানে এসেছে। আমি কারো কাছে যাইনি। আমার কাছেই তারা এসেছেন। কারণ আমি যেখানে যেখানে শাখা করেছি, সেখানে অন্যান্য গ্রোসারির শাখাও হয়েছে। আমি কোন গ্রোসারির পাশে গিয়ে নতুন গ্রোসারি করিনি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পণ্য আমদানি করি। গ্রাহক চাহিদার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা আগামী দিনে চেষ্টা করবো আরো নতুন নতুন পণ্য যোগ করতে।
জুম্মার নামাজের পর অতিথিরা কাওরান বাজারে আসেন। এর একটু পর নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল অফিসের প্রথম সচিব, পাসপোর্ট ও ভিসা বিভাগের প্রধান মো. শামীম হোসেন ফিতা কেটে বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করেন। এ সময় কাওরান বাজারের সমৃদ্ধি ও উত্তরোত্তর প্রসার কামানা করে মোনাজাত করান মীর্জা আবু জাফর বেগ।
কাওরান বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মো. শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছেন। নিউইয়র্কেও অনেক বাংলাদেশি ব্যবসা করছেন। তাদের সাফল্যই বলে দেয় তাদের ব্যবসা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা। কাওরান বাজারের প্রসারকে তিনি স্বাগত জানান এবং আগামী দিনে যাতে আরো বড় হয়, সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য তার কনাসার জেনারেল অফিস যেসব সময় কাজ করে আসছে তাও তুলে ধরেন।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মীর্জা আজম বেগ বলেন, কাওরান বাজার দীর্ঘদিন ধরে মানুষের চাহিদা পূরণ করে আসছে। তারা যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। আমরা আশা করি ও দোয়া করি তাদের তাদের সেবা অব্যাহত থাকে এবং তারা আগামী দিনেও আরও মানুষের সেবা দিতে পারে।
কাওরান বাজারের প্রেসিডেন্ট ইমরান খান বুলু বলেন, আমি বাংলাদেশ ও জ্যামাইকাবাসীর জন্য এক সময় এই কাওরান বাজার গড়ে তুলেছিলাম। আমি সব সময়ই চেষ্টা করে গেছি তাদের জন্য গুণগতমানসম্পন্নœ পণ্য সরবরাহ করার। ভবিষ্যতেও আমি তা অব্যাহত রাখতে চাই।
কাওরান বাজারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ইলিয়াস খান বলেন, আমরা সব সময় সবার জন্য ভালো ও টাটকা জিনিস দিতে চেষ্টা করেছি। আপনারা সব সময় আমাদের সহায়তা করে এসেছেন। আমাদের পাশে থেকেছেন, আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকবো।
কাওরান বাজারের নিয়মিত কিছু ক্রেতা রয়েছেন, তারা দীর্ঘ পনের বছর ধরে একই দোকান থেকে বাজার করে আসছেন। তাদের অনেকেই উদ্বোধনী দিনে বাজারে আসেন, কাওরান বাজার কি কি পণ্যের উপর ছাড় দিয়েছে তা দেখতে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু পণ্যও কিনে নেন। কাওরান বাজার পরিসর বাড়ানোর কারণে মাছ, মাংস, চাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় দিয়েছে। এনেছে নতুন নতুন মাছও। রমজানেও থাকছে বিশেষ ছাড়।
ইমরান খন্দকার বুলু ঠিকানাকে বলেন, জ্যামাইকাতে যখন বড় কোন সুপার শপ ও গ্রোসারি ছিলো না, সেটি আমি করি। এটা ১৫ বছর আগের কথা। একটি একটি করে এখন আমরা তিনটি ব্রাঞ্চ পরিচালনা করছি। দুটি হিলসাইডে আর একটি উডসাইডে। আমরা আগামী দিনে আমাদের ব্যবসা আরও বাড়াবো।
তিনি বলেন, এখন গ্রোসরি শপের মালিকদের কারো কারো মধ্যে অসম ও অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অনেক সময় কম দামে বিক্রি করার জন্য ক্রেতাদেরকে কম মেয়াদে ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সবরাহ করছে। আমি মনে করি, এটা ঠিক না। এটি একটি অসম প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতাটি বন্ধ করা দরকার। কারণ খাদ্যপণ্য মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর সেখানেই যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তিনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে সারাজীবনই সমস্যার মধ্যে থাকতে হবে। তাই আমি ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলবোÑ আপনারা ভাল ও গুণগতমানসম্পন্ন পণ্য কিনুন। কমমূল্যে মেয়াদোত্তীর্ণ কোন জিনিস কিনবেন না।
তিনি বলেন, এ এলাকায় যখন প্রথম গ্রোসরি করি তখন মান্নান সুপার মার্কেট ও প্রিমিয়াম সুপার মার্কেটও ছিলো না। আমি প্রথম আসার পর তারা এখানে এসেছে। আমি কারো কাছে যাইনি। আমার কাছেই তারা এসেছেন। কারণ আমি যেখানে যেখানে শাখা করেছি, সেখানে অন্যান্য গ্রোসারির শাখাও হয়েছে। আমি কোন গ্রোসারির পাশে গিয়ে নতুন গ্রোসারি করিনি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পণ্য আমদানি করি। গ্রাহক চাহিদার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা আগামী দিনে চেষ্টা করবো আরো নতুন নতুন পণ্য যোগ করতে।