জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নীনা আহমেদ

ঠিকানা রিপোর্ট : আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকার শুধু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নয়। সিনেটসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলোও হচ্ছে। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশিদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাবেক উপদেষ্টা ড. নীনা আহমেদ পেনসিলভানিয়া স্টেটের অডিটর জেনারেল পদে এবং নিউজার্সিতে দুই জন বাংলাদেশি কাউন্সিলম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ২ জন বাংলাদেশি একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন। এই দুই জন প্রার্থী হচ্ছেন শাহীন খালিক এবং আখতারুজ্জামান।
পেনসিলভানিয়া রাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ অডিটর জেনারেল পদে নির্বাচন করছেন ড. নীনা আহমেদ। যা ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি একই দিন অনুষ্ঠিত হবে। নীনা আহমেদ ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী। যদিও তিনি প্রাইমারিতে জয়লাভ করেছিলেন। সেই হিসেবে ড. নীনা আহমেদের জয়লাভ করার সম্ভাবনা বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমর্থন পাওয়া নীনা আহমেদের নির্বাচন পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ওয়াশিংটন, দেলাওয়ারসহ অন্যান্য রাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করছে এবং সবাই তাদের সাধ্যমতো নির্বাচনে সহায়তা করছেন।
ড. নীনা আহমেদ বলেন, নির্বাচনে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এবারের ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে পেনসিলভানিয়ার বাংলাদেশিরাও সহযোগিতা করছেন। আবার ডেমোক্র্যাটিক পার্টিসহ ছোটখাট গ্রুপগুলোকেও আমি ঐক্যবদ্ধ করেছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আর কয়েকদিন বাকি। আমাকে প্রতিদিনই কয়েকটি অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। তিনি তার নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
ড. নীনা আহমেদের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সিনিয়র অ্যাডভাইজার ডা. ইবরুল বলেন, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশি বশোংদ্ভূত আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ নতুন ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছেন। তিনি পেনসিলভানিয়ার অডিটর জেনারেল নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ড. নীনার জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জরিপে ড. নীনা আহমেদ ডাবল ডিজিটে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে জো বাইডেন-ক্যামলা হ্যারিস পেনসিলভেনিয়ায় ৭% এগিয়ে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, অডিটর জেনারেল পেনসিলভানিয়া রাজ্যে তিন নম্বর গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং এর উপরে রয়েছেন গভর্নর ও লে. গভর্নর। ২০১৬ সালে লে. গভর্নর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন নীনা আহমেদ।
জানা গেছে, ফিলাডেলফিয়ায় ডেপুটি মেয়র, প্রেসিডেন্ট ওবামার উপদেষ্টা কমিশনের সদস্য এবং ফিলাডেলফিয়া ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর ওম্যানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে নীনা আহমেদের। বাংলাদেশিদেরতো বটেই অন্যান্য সংখ্যালঘু যারা বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, তাদেরও সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। কারণ, তিনি ওইসব মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন।