টাইগারদেররোগ তাড়াতে ফের মনোবিদ

স্পোর্টস রিপোর্ট : ফিফটি হাঁকানোর পরই এলোমেলো শট ব্যাস আউট যেখানে হতে পারত নিশ্চিত সেঞ্চুরি সেটিও হলো না। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এমন উদাহরণ কম নয়। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকদের ক্যারিয়ারে এমন চিত্র ভুরি ভুরি। শুধু কি তাই? একজন আউট হলেই যেন শুরু হয় সাজঘরে ফেরার মিছিল। এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটে পুরানো রোগ। এশিয়া কাপের ফাইনালেও সেই রোগের কারণেই হাতে আসা শিরোপা আরো একবার ফসকালো। হ্যাঁ, ২০১২ থেকে ফাইনালে এসে লুটিয়ে পড়াও নতুন আরেক রোগের নাম। তবে ক্রিকেটবোদ্ধারা এক বাক্যে বলেন এসবই মানসিক কারণে।

এতো গেল মাঠের কথা। মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবনে আছে নানা বিতর্ক। কেউ দর্শক পিটিয়ে হচ্ছেন বিতর্কিত, কেউবা নারী কেলেঙ্কারিতে জড়াচ্ছেন। এখানে মনকে বশে আনার বিষয় জড়িত বলেই সবার অভিমত। তাই আরো একবার মনোবিদের শরণাপন্ন হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টাইগারদের মনের রোগ তাড়াতে জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই আসছেন মনোবিদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান। তিনি বলেন,মনোবিদ যোগ দেবেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। সিরিজ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ দলকে ছয় সাত দিন সময় দেবেন। ১৭ তারিখের দিকে আসবেন তিনি। উনার নাম আলী আজহার খান। যেহেতু উনি বাঙালি, বোঝাপড়ার ব্যাপারে এটা আমাদের প্লেয়ারদের জন্য ভালো হবে। তিনি খুব ব্যস্ত ছিলেন, আমি অনুরোধ করে তার সময় নিয়েছি। তিনি ১৭-১৮ তারিখ থেকে প্লেয়ারদের সঙ্গে থাকবেন। ৬-৭ দিনের জন্য ক্রিকেটারদের সেশন করবেন। এর আগে ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের সময় মনোবিদ আলী আজহার খান প্রথমবার এসেছিলেন বাংলাদেশে। আবারো ক্রিকেটারদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের মাধ্যমে ও মনের আত্মিক শক্তি বাড়াতে কানাডা প্রবাসী এই মনোবিদকে উড়িয়ে আনছে বিসিবি। সপ্তাহখানেক তার ক্লাসে থাকবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আবারো মনোবিদের প্রয়োজনের বিষয়টি উঠে আসে সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে ওঠা বিতর্কের পর। তখনই বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন মনোবিদ নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি। তবে এখন দেখার বিষয় এই মনোবিদ ক্রিকেটারদের মনের বাধা কতটা ভাঙতে পারেন আর বাড়িয়ে দিতে পারেন মানসিক শক্তি।