ঠিকানা অনলাইন : টাইটানিক ডুবে যাবার ১১১ বছর পর আইকনিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষে মেগালোডন হাঙরের দাঁত থেকে তৈরি একটি নেকলেস পাওয়া গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক কোটি বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে মেগালোডন হাঙর। সেই হাঙরের দাঁতের তৈরি নেকলেস চিহ্নিত করা গেল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে।
ম্যাগেলান, একটি গার্নসি-ভিত্তিক কোম্পানি ধ্বংসপ্রাপ্ত বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজের প্রথম পূর্ণ আকারের ডিজিটাল স্ক্যান তৈরি করতে এক জোড়া সাবমেরিন ব্যবহার করে। তারপরেই এই আবিষ্কারটি সামনে এলো। সমুদ্রের অতলে টাইটানিকের ছবি এর আগেও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনও ছবিতেই এত স্পষ্ট ধরা পড়েনি সুবিশাল এই জাহাজকে। প্রজেক্টটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ‘আন্ডারওয়াটার স্ক্যান’, প্রতিটি কোণ থেকে ৭ লক্ষেরও বেশি ছবি তৈরি করে, জাহাজের একটি সঠিক 3D ছবি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। চিত্রগুলির একটিতে, একটি ফিরোজা এবং সোনার রঙের নেকলেস দেখা গেছে যা মেগালোডন, একটি বিলুপ্তপ্রায় হাঙ্গর প্রজাতির দাঁত থেকে তৈরি করা হয়েছিলো। তবে, একটি পূর্ব-বিদ্যমান চুক্তির কারণে, ধ্বংসাবশেষ থেকে নিদর্শনগুলি সরানোর অনুমতি নেই। সংস্থাটি এখন আশা করছে যে একটি AI-চালিত প্রযুক্তি নেকলেসের মালিককে শনাক্ত করতে এবং পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে।
ইন্ডিপেনডেন্টের মতে, জাহাজটিতে ২২০০ জন যাত্রী ছিল যখন এটি একটি আইসবার্গে আঘাত করে এবং ডুবে যায়।
ম্যাগেলানের সিইও রিচার্ড পারকিনসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”আবিষ্কারটি ছিল আশ্চর্যজনক, সুন্দর এবং শ্বাসরুদ্ধকর। যা ব্যাপকভাবে বোঝা যায় না তা হল পানির তলায় টাইটানিক দুটি অংশে রয়েছে। তীর ধনুকের মতো ভেঙে যাওয়া অংশের ঠিক মাঝখানে একটি তিন-বর্গ-মাইল ধ্বংসাবশেষ ক্ষেত্র রয়েছে। আমরা সেই অঞ্চলেই অনুসন্ধান চালাচ্ছি।” এভাবেই সেখান থেকে জাহাজের যাত্রীদের ব্যবহার করা কিছু জিনিস যেমন জুতো, ঘড়িরও হদিশ মিলেছে জাহাজের ধ্বংসাবেশেষে। রয়েছে জাহাজের অন্দরসজ্জার মূর্তি, যাত্রীদের জন্য রাখা মুখবন্ধ শ্যাম্পেনের বোতলের মতো নানা জিনিস।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯১২ সালের এপ্রিলে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার প্রথম সমুদ্রযাত্রায় একটি হিমবাহের সাথে সংঘর্ষের পর বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজটি ডুবে যায়, যার ফলে ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ১৯৮৫ সালে কানাডার উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষটিতে ব্যাপকভাবে অন্বেষণ করা হয়েছে, কিন্তু ক্যামেরা কখনই জাহাজটিকে সম্পূর্ণরূপে ক্যাপচার করতে সক্ষম হয়নি। সূত্র : এনডিটিভি
ঠিকানা/এসআর