‘ট্রাম্পকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত’

ঠিকানা রিপোর্ট : হোয়াইট হাউসের অতি গোপনীয় নথি উদ্ধারের জন্য এফবিআই-এর মার-এ-লাগো অনুসন্ধানের আলোকে ট্রাম্পকে ‘দ্রুত’ গ্রেপ্তার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর গ্নেন কির্সনার। তদন্তকারীরা মার-এ-লাগো থেকে প্রায় ১০০টি খালি ফোল্ডার উদ্ধার করেছে। প্রতিটি খালি ফোল্ডারের ভেতরের বিষয়বস্তু কোথায় তা স্পষ্ট নয়। কির্সনার তার ইউটিউব চ্যানেলের একটি পর্বে কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প এই শ্রেণিবদ্ধ সরকারি নথিগুলোর কিছু বিক্রি করেছেন বা অন্য কাউকে দিয়েছেন কিনা। কির্সনার বলেন, ‘সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত অনুমান হলো, ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে বেআইনিভাবে নেওয়ার পরে সেই শ্রেণিবদ্ধ নথিগুলো বিলিবন্টন করেছেন। তিনি কি উদ্দেশ্যে এগুলো রেখেছিলেন? তিনি কি এগুলো আমেরিকার প্রতিপক্ষের কাছে বিক্রি করেছেন? তিনি কি মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য এগুলো ব্যবহার করেছেন? তিনি কি সেগুলোকে কোনো দেশে বা অন্য কোনো দেশে অনুকূল ব্যবসায়িক চুক্তির সুবিধা নিতে ব্যবহার করেছেন? আমরা এখনো তা পরিষ্কারভাবে জানি না।’
ট্রাম্প গত ২৯ আগস্ট সোমবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, এফবিআই তার ফ্লোরিডার পাম বিচে মার-এ-লাগোর বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি আমাদের জাতির জন্য অন্ধকার সময়, কারণ আমার সুন্দর বাড়ি বর্তমানে অবরুদ্ধ। অভিযান এবং এফবিআই এজেন্টদের একটি বড় দল বাড়িটি দখল করে রেখেছে।’
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এই রিসোর্টটিকে প্রায়ই ‘শীতকালীন হোয়াইট হাউস’ হিসেবে উল্লেখ করা হতো। সেটি এখন শুধু তার বাড়ি। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ট্রাম্প এই রিসোর্টে চলে যান বসবাসের জন্য।
আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, গত মাসে এফবিআই ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-এ-লাগোর বাসভবনে তদন্ত করে এবং শ্রেণিবদ্ধ রেকর্ড সম্বলিত বেশ কয়েকটি বাক্স উদ্ধার করে। ট্রাম্প অফিস ছেড়ে যাওয়ার পরে এগুলো হোয়াইট হাউস থেকে তার সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিছু বাক্স সুস্পষ্টভাবে ‘অতি গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্ট অনুযায়ী, অফিস ছাড়ার পরে তার রেকর্ডগুলো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল।
বিচার বিভাগ এখন তদন্ত করছে যে ট্রাম্প সরকারি নথি পরিচালনা সংক্রান্ত কোনো আইন লঙ্ঘন করেছেন কিনা। একজন আইনী বিশ্লেষক এর আগে বলেছেন, ট্রাম্প গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি আইন যা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হয় বা ক্ষতি করতে পারে এমন তথ্য শেয়ার করা বা প্রচার করা থেকে কাউকে বাধা দেয়।
ট্রাম্প এখন পর্যন্ত সব ভুলের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তিনি বলেন, তিনি নথিগুলিকে ‘প্রকাশ’ করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেককেই সময়ে সময়ে তাদের কাজ বাড়িতে আনতে হয়।
কির্সনার বলেন, ট্রাম্পকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। তাকে গ্রেফতার করার বিরুদ্ধে কোনো বাধ্যতামূলক যুক্তি নেই। নেই কোনো বৈধ ও প্ররোচনামূলক যুক্তি।’